ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভিন্ন উপজেলায় কপিচাষ করে অনেকের ভাগ্য বদলাচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভিন্ন উপজেলায় শীতকালীন ফুলকপি ও বাধাকপির চাষ করে অনেকে চাষী বেশ স্বাবলম্বী হয়েছে। জেলার নাসিরনগর, নবীননগর,ও বাঞ্ছারামপুরে নদী তীর এলাকা গুলো সবচেয়ে বেশী ফলন হয়েছে শীতকালীন এই সবজির। আর খরচের চেয়ে দুইগুণ বেশী লাভবান হওয়ায় চাষিরা বেশ খুশি। এমনিতে শীত মৌসুমে এই সবজির হাটে-বাজারে ক্রেতার ব্যাপক চাহিতা থাকায় দাম পাচ্ছে পাইকারদের কাছ থেকে বেশ ভাল। নবীনগর উপজেলার বাঈশমোজা, ভোলাচং, শিবপুর এলাকার প্রায় প্রায় দুইশত একর জমিতে চাষ হয়েছে ফুলকপি ও বাঁধা কপির। নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট, চাতলপাড়, গোয়ালনগর, ধরমন্ডল এসব এলাকায় ব্যাপক হারে হয়েছে শীতকালিন এই সবজির চাষ। চাহিদার অনুযায়ী ফলন বেশি হওয়াতে অনেক কৃষকের মুখে হাসির জোয়ার। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খোশ কান্দি, দূর্গারামপুর, তেলীকান্দি, ধরিয়াচর এসব গ্রামের পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়েছে শীতকালিন এই সবজির চাষ। সফিরকান্দী গ্রামের চাষী মোস্তফা কামাল এবার তার বন্ধক জমিতে ফুলকপি ও বাধাঁকপির চাষ করে প্রায় লাখ টাকা কাছাকাছি আয় করতে পারবেন আশাবাদী । শুধু কৃষক মোস্তফাই নয়, হেলাল মিয়া, মিদন, রজ্জবসহ এসমস্ত গ্রামের অর্ধ-শতাধিক কপি চাষী চলতি শীত মৌসুমে তারা তাদের জমিতে ফুল ও বাঁধাকপি চাষ করে অনেকটাই লাভবান হতে পারবেন বলে শতভাগ আশাবাদী।
চাষী মোস্তফা জানায়, “ভাই আল্লাহ্ এবছর আমার ভাগ্য খুইল্লা দিছে। জমি একটা বন্ধক রাখছিলাম। তিন কানির মত জমিতে ২০ হাজার টেহার ফুল ও বাঁধাকপির চারা কিন্না আর ৫ হাজার টাকার সার দিয়া এই পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার টেহার উপর বিক্রি করছি” এইভাবেই ব্যক্ত করলেন তার অনুভূতির কথাগুলো। তাছাড়া এসব উপজেলায় দেখা গেছে, জমির পর জমি কেবল বিভিন্ন প্রকার কপি চাষের সমারোহ। এসব উপজেলা নদীমাতৃক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় খুব সহজেই তার বাজারজাত করতে পারছেন। জেলার কৃষি অফিসসূত্র জানায়, এবছর সবজি চাষিদের জন্য আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বিভিন্ন প্রকার সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে এসব মৌসুমী চাষিদের সব রকমের তথ্যাদি দিয়ে সহযোগিতা করছি।