বুধবার, ২৫শে জানুয়ারি, ২০১৭ ইং ১২ই মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ২৩, ২০১৭

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরে হত্যা মামলায় তিন ভাই ও ভগ্নিপতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার দুুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচার মো: ইকবাল হোসেন এ রায় প্রদান করেন। রায়ে একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ সোবাহানের ছেলে মো: মাসুদ, সানাউল্লাহ, নূরে আলম উরফে ময়না ও তাদের ভগ্নিপতি বরিশালের কোতয়ালী থানার হরিনাফুলিয়া গ্রামে গণি শিকদারের ছেলে আনোয়ার শিকদার। রায় ঘোষণাকালে নুরে আলম ওরফে ময়না উপস্থিত থাকলেও অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছে।

গাজীপুর আদালতের আইনজীবী মো. হাফিজ উল্লা দরজী জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০০৪ সালে ১৫ এপ্রিল বিকালে কালীগঞ্জে রামচন্দ্রপুর এলাকার শামসুল হক দরজিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাসুদ ও তার ভাই সানাউল্লাহ। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পত ভাবে তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শামসুল হককে মারধর করে। এ সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে নুরে আলম ওরফে ময়না ও তার ভগ্নিপতি আনোয়ার শিকদারও শামসুল হক দরজিকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করতে থাকে।

এ সময় মাসুদের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে শামসুল হকের বুকে আঘাত করে। চিৎকার শুনে শামসুল হকের স্ত্রী হাফেজা বেগম ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ডাকচিৎকার করতে থাকেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসতে থাকলে শামসুল হকেকে রক্তাক্ত আহতাবস্থায় ফেলে রেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুত্বর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামসুল হক দর্জিকে মৃত ঘোষণা করেন।

পর দিন নিহতের স্ত্রী হাফেজা বেগম বাদি হয়ে ওই চার জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু বকর সিদ্দিক তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ অক্টোবর ওই চার জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে ঘটনার ১৩ বছর পর সোমবার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলায় ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. মো: হাফিজ উল্লা দরজি। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মো. সুলতান উদ্দিন।