গৃহহীন প্রত্যেককে ঘর দেবো : শেখ হাসিনা
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আল্লাহর রহমতে প্রতিটি মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি। এখনও যাদের ঘর নেই তাদের তালিকা করছি। প্রতিটি গৃহহীন মানুষকে আমরা ঘর করে দেব। একজন মানুষও গৃহহারা থাকবে না। আগামীতে প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি একথা বলেন। বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভাস্থলে উপস্থিত হন।
এর আগে, বেলা আড়াইটায় জনসভার কার্যক্রম শুরু করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভা পরিচালনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সমাবেশ উপলক্ষে দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা পতাকা ও ব্যানার নিয়ে মিছিল করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন। তাদের অনেকেরই গায়ে দেখা যায় সবুজ-লাল টি-শার্ট, মাথায় সবুজ ক্যাপ। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে উদ্যানের চারপাশ।
এদিকে সভামঞ্চ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশ এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ মোড় থেকে মৎস্য ভবন মোড়ের দুই পাশে এবং টিএসসির মোড় থেকে দোয়েল চত্বর মোড়ের দুই পাশের রাস্তা বন্ধ থাকবে জানিয়ে চালকদের বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
প্রেসক্লাব, জিপিও মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়, দোয়েল চত্বরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়ায় গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, মগবাজারসহ আশপাশ সড়কগুলোতে দেখা যায় তীব্র যানজট। অনেককেই বাস থেকে নেমে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আনন্দে আত্মহারা লাখো মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় সেখানেই প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে সদ্যস্বাধীন জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু।