g ৯৭৫ কেজি গরিবের দুম্বার মাংস গেল বড় কর্তাদের পেটে | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২০শে জুলাই, ২০১৭ ইং ৫ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

৯৭৫ কেজি গরিবের দুম্বার মাংস গেল বড় কর্তাদের পেটে

AmaderBrahmanbaria.COM
ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬

---

বিশেষ প্রতিনিধি :  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ আসা প্রায় ৯৭৫ কেজি আরবের দুম্বার মাংস ভাগবাটোরা করে নিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিদুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান, ইউএনও মোহাম্মদ শওকত ওসমান সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। গরিবের মাঝে বিতরণ না করে ভাগবাটোরা করার ঘটনা ফাঁস হলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এবছরও গত বৃহস্পতিবার সৌদিআরব থেকে হতদরিদ্রদের জন্য আসা ৬৫ কার্টুন (প্রায় ৯৭৫ কেজি) দুম্বার মাংস ভাগবাটোরা করলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিদুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান, ইউএনও মোহাম্মদ শওকত ওসমান সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ হলেও ভাগবাটোরা করে নিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা, স্বচ্ছল, প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিরা। অনেক জনপ্রতিনিধির ইউনিয়নের গরিবের বরাদ্দ আসা দুম্বার মাংস না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রূপসদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, “দুম্বার মাংস আইছে শুইনা আমার ইউনিয়নের গরিবের মাঝে বিতরণের জন্য আনতে লোক পাঠাইছিলাম। পরে পিআইও সাব কইছে মাংস বিতরণ শেষ হয়ে গেছে। পরে খবর নিয়ে জানলাম অফিসাররাই ভাগ কইরা নিয়া নিছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, “ইউএনও স্যার এবং পিআইও সাহেবের নেতৃত্বে দুস্তদের জন্য আরবের দুম্বার মাংস ভাগবাটোরা করা ঠিক হয়নি। আমাকে এক কার্টুন দিতে চেয়েছিল আমি নেইনি। প্রায় সব কর্মকর্তারা এবং নেতাদের মাঝে ভাগ হয়েছে।”
এব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মফিদুল আলম বলেন, “আমি দুম্বার মাংস ভাগ বাটোয়ারার সময় ছিলাম না। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান নিজে উপস্থিত থেকে ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের কাছে মাংস বুঝিয়ে দিয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছে। আমি নাসিরনগর ছিলাম।

এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শওকত ওসমান জানান, আমি মাংস বন্টনের দিন ছিলাম না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভিডিও কন্ফারেন্সে ছিলাম। আমার পিআইও মফিদুল বলেছেন সব সময় যেভাবে বন্টন করি এবারো স্যার ঠিক এভাবেই বন্টন করেছি।

 

এ জাতীয় আরও খবর