আন্তর্জাতিক ডেস্ক :বব ডিলানসাহিত্যে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেলেন প্রখ্যাত মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী ও গীতিকার বব ডিলান। সুমহান মার্কিন সঙ্গীতের ঐতিহ্যে কাব্যিক মূর্ছনা তৈরি করে তিনি এই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় (স্থানীয় সময় বেলা ১টায়) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সুইডিশ একাডেমিতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
সুইডিশ অ্যাকাডেমির স্থায়ী সচিব অ্যধাপক সারা দানিউস এই পুরস্কার ঘোষণা করেন। ঘোষণার পর নোবেল সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ সম্পর্কে সুইডিশ অ্যাকাডেমির স্থায়ী সচিব অ্যধাপক সারা দানিউসের একটি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯০১ সালে শুরু হয়ে এ নিয়ে ১০৮ বার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হয়েছে। সাহিত্যে গত বছর ২০১৫ সালে নোবেল পুরস্কার পান বেলারুশের লেখক ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক সোয়েতলানা আলেক্সিয়েভিচ। তার ‘বহুস্বরের’ গদ্যকে সুইডিশ অ্যাকাডেমি অভিহিত করেছে ‘সমকালীন যাতনা আর সাহসিকতার সৌধ’ হিসেবে।
১১২তম লেখক এবং ১৪তম নারী হিসেবে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করতে গিয়ে সুইডিশ অ্যাকাডেমির প্রধান সারা দানিউস বলেন,“আলেক্সিয়েভিচ তার অনন্যসাধারণ লেখনী শৈলীর মাধ্যমে সতর্কভাবে বাছাই করা কিছু কণ্ঠের যে কোলাজ রচনা করেছেন, তা পুরো একটি যুগ সম্পর্কে আমাদের বোধের জগৎকে নিয়ে গেছে আরও গভীরে।”
৬৭ বছর বয়সী সোয়েতলানা আলেক্সিয়েভিচ হলেন চতুর্দশ নারী, যিনি সাহিত্যে নোবেল পেলেন। গত বছরও এ পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম ছিল।
উল্লেখ্য, নোবেল পুরস্কারের মধ্যে সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা ক্ষেত্রে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। ঘোষণার আগে কয়েকদিন ধরে চলে জল্পনা-কল্পনা, কে পাচ্ছেন এবারের সাহিত্যে নোবেল। ফলে দুনিয়াব্যাপী লেখক-পাঠকরা অনেকটা অনুমানের ওপর নির্ভর করে অনেকের নাম বলে থাকেন। শেষ পর্যন্ত সুইডিশ নোবেল অ্যাকাডেমির মনোনীত নির্বাচকদের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে থাকেন বিজয়ী।সাধারণত বৃহস্পতিবারই এ পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষ।
১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। পরে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।
পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যু বরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। আর বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।