স্পোর্টস ডেস্ক :ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার পথে সাকিব আল হাসান।ওয়ানডেতে আর একটি উইকেট পেলে সাকিব ছুঁয়ে ফেলবেন শীর্ষে থাকা আব্দুর রাজ্জাককে। দুটি পেলে রাজ্জাককে ছাড়িয়ে চূড়ায় উঠে যাবেন বাঁহাতি স্পিনার।ওয়ানডেতে সাকিবের উইকেটের সংখ্যা এখন ২০৬টি। রাজ্জাকের উইকেট ২০৭টি।
দশ মাস পর আবারও ওয়ানডে ফরম্যাটে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। রোববার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সাকিব দুটি উইকেট পেলেই অনন্য রেকর্ড গড়বেন।
এরই মধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিব আল হাসান। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার টেস্টে ১৪৭ উইকেট পেয়েছেন। এ মুহূর্তে তার ধারের কাছেও নেই বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০০ উইকেট নিয়েছেন ২০০৮ সালে অবসরে যাওয়া মোহাম্মদ রফিক। এরপর রয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা (৭৮ উইকেট)। ২০০৯ সালে সবশেষ টেস্ট খেলা মাশরাফি আবার কবে সাদা জার্সিতে ফিরবেন, তা বলা কঠিন।
টি-টোয়েন্টিতেও একই অবস্থা। শর্টার ফরম্যাটে সাকিবের পকেটে ৬৫ উইকেট। শীর্ষে উঠতে সাকিব পেছনে ফেলেছেন আব্দুর রাজ্জাককে। নির্বাচকদের ‘নজরের’ বাইরে থাকা আব্দুর রাজ্জাক টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট। এরপর রয়েছেন আল-আমিন হোসেন (৩৯ উইকেট), মাশরাফি বিন মুর্তজা (৩৮ উইকেট) ও মুস্তাফিজুর রহমান (২২ উইকেট)।
টেস্টে ও টি-টোয়েন্টিতে না পারলেও ওয়ানডেতে সাকিবকে অনানুষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নড়াইল এক্সপ্রেসের উইকেট ২০৩টি। সাকিবকে ছুঁতে মাশরাফির প্রয়োজন ৩ উইকেট। আর শীর্ষে উঠতে মাশরাফির প্রয়োজন ৫ উইকেট। ক্যারিয়ার শেষ হতে হতে তাদের দুজনের যে লড়াই হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলে সাকিব আল হাসান বিরল এক রেকর্ডও গড়বেন। তিন ফরম্যাটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি প্রথম বোলার হবেন যে সাকিবই।
তিন ফরম্যাটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট
অস্ট্রেলিয়া
টেস্ট : শেন ওয়ার্ন (৭০৮)
ওয়ানডে : গ্লেন ম্যাকগ্রা (৩৮১)
টি-টোয়েন্টি : শেন ওয়াটসন (৪৮)
ইংল্যান্ড
টেস্ট : জেমস অ্যান্ডারসন (৪৬৩)
ওয়ানডে : জেমস অ্যান্ডারসন (২৬৯)
টি-টোয়েন্টি : স্টুয়ার্ট ব্রড (৬৫)
ভারত
টেস্ট : অনিল কুম্বলে (৬১৯)
ওয়ানডে : অনিল কুম্বলে (৩৩৭)
টি-টোয়েন্টি : রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৫২)
নিউজিল্যান্ড
টেস্ট : রিচার্ড হ্যাডলি(৪৩১)
ওয়ানডে : ড্যানিয়েল ভেট্টরি (৩০৫)
টি-টোয়েন্টি : নাথান ম্যাককালাম (৫৮)
পাকিস্তান
টেস্ট : ওয়াসিম আকরাম (৪১৪)
ওয়ানডে : ওয়াসিম আকরাম (৫০২)
টি-টোয়েন্টি : শহীদ আফ্রিদি (৯৭)
দক্ষিণ আফ্রিকা
টেস্ট : শন পোলক (৪২১)
ওয়ানডে : শন পোলক (৩৯৩)
টি-টোয়েন্টি : ডেল স্টেইন (৫৮)
শ্রীলঙ্কা
টেস্ট : মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০)
ওয়ানডে : মুত্তিয়া মুরালিধরন (৫৩৪)
টি-টোয়েন্টি : লাসিথ মালিঙ্গা (৭৮)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টেস্ট : কোর্টনি ওয়ালশ (৫১৯)
ওয়ানডে : কোর্টনি ওয়ালশ (২২৭)
টি-টোয়েন্টি : ডোয়াইন ব্রাভো (৫১)
বাংলাদেশ
টেস্ট : সাকিব আল হাসান (১৪৭)
ওয়ানডে : আব্দুর রাজ্জাক (২০৭)
টি-টোয়েন্টি : সাকিব আল হাসান (৬৪)
জিম্বাবুয়ে
টেস্ট : হিথ স্ট্রিক (২১৬)
ওয়ানডে : হিথ স্ট্রিক (২৩৯)
টি-টোয়েন্টি : গ্রায়েম ক্রেমার (৩৩)
*শীর্ষে থাকা অনেক ক্রিকেটারই তিন ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পাননি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আসার আগেই অনেকে অবসরে গেছেন।