গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট সরিয়ে নেওয়া হবে। পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে এবং ঘাটের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক আজ বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএর ঘাট পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর এ কথা জানান।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় প্রায় আড়াই মাস ধরে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বারবার সব কটি ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে যানবাহন পারাপার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। ঘাটে প্রতিদিন আটকা পড়ে শত শত গাড়ি। দুর্ভোগের শিকার হয় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ দিয়ে চলাচলকারী হাজারো মানুষ।
আজ বেলা ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাটের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে বিকল্প স্থানে ফেরি ও লঞ্চঘাট স্থানান্তরের জায়গা নির্ধারণ করতে বর্তমান লঞ্চ ও ক্যানাল ঘাট এলাকা এবং বাহিরচর দৌলতদিয়া আক্কাছ আলী হাইস্কুল–সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘাটে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো দেখেন এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন।
পরিদর্শন শেষে মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমান ফেরিঘাট রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বালুর বস্তা ফেললেও এখানে ঘাট রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। ছয় মাসের মধ্যে এই ঘাট অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে। এ জন্য বর্তমান ফেরিঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে বর্তমান লঞ্চঘাট থেকে ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত অথবা বাহিরচর দৌলতদিয়ায় স্থানীয় আক্কাছ আলী হাইস্কুল–সংলগ্ন এলাকায় ফেরিঘাট স্থানান্তরের জন্য জায়গা দেখা হয়েছে। তিনি বলেন, এ দুটি জায়গা সম্পর্কে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হবে। তবে এ দুটি জায়গার মধ্যে তুলনামূলক স্বল্প খরচে ও নিরাপদ বলে বর্তমান লঞ্চঘাটের কাছে ফেরিঘাট সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করবেন। সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে আগামী নতুন বছর থেকে কাজ শুরু করে মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে ঘাট চালু করা হবে বলে জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী মুহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা হাকিম মনোয়ার হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজামুদ্দিন পাঠান, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ ঘোষ, বিআইডব্লিউটিসির স্থানীয় ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রথম আলো