নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার বিচার আদৌ হবে কিনা সেটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার।মঙ্গলবার তনু হত্যাকাণ্ডের ছয়মাস পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত কোন অপরাধীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। নিহত তনুর বাবা ইয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, তনু হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চলছে।
হোসেন বলেন, ” আশা একটাই যদি আল্লাহ বিচার করে। সবাই দেখতেছে। কী আর বলবো? গরীবের তো কোন বিচার নাই।” তনু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কোন দিকে যাচ্ছে এবং কোন অগ্রগতি আছে কিনা সে বিষয়ে তারা পুরোপুরি অন্ধকারে। তনু হত্যাকাণ্ডের পর বিচারের দাবীতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জোরালো আন্দোলন করলেও কিছুদিন পরেই তা স্তিমিত হয়ে যায়।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেছিলেন, তনু হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত বলেই তাদের কাছে মনে হয়েছে। কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় যেখান থেকে সোহাগী জাহান তনুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সিআইডি দল সেই এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন লোকজনের সাথেও কথা বলেছিল।
কুমিল্লা সেনানিবাসে বসবাসকারী তনুর পরিবারের সাথে পরিচিতদের সাথেও কথা বলেছিল সিআইডি। কিন্তু এরপর সে তদন্তের অগ্রগতি কতটা হয়েছে সেটি এখনো জানা যায়নি। এমন অবস্থায় তনুর বাবা ইয়ার হোসেন শুধু হতাশাই প্রকাশ করছেন। তনুর বাবার সাথে যখন কথা হচ্ছিল তখন টেলিফোনের অপরপ্রান্তে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
হোসেন বলে, “আমি কোথায় গেলে শান্তি পাব? আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।” তনু হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবীতে যারা আন্দোলন করেছিলেন তাদের মধ্যেও চরম হতাশা দেখা যাচ্ছে। তাদের অনেকেই এখন আর তনু হত্যার বিচারের আশা করছেন না। বিচারের দাবীতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শরীফ আহমেদ। তিনি আংশকা করছেন তনু হত্যার ‘সঠিক বিচার’ পাওয়া যাবেনা।
তনু হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিকে তিনি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সাথে তুলনা করছেন। আহমেদ আংশকা করেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ফলাফল যেমন আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি, তেমনটি হয়তো ঘটতে যাচ্ছে তনু হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ক্ষেত্রে।