স্পোর্টস ডেস্ক : আপনার কান হয়তো পচে গেছে একই কথা শুনতে শুনতে—অলিম্পিক ফুটবলে ব্রাজিলের সেই অধরা সোনা…। ছেলেদের ফুটবল নিয়েই মূলত এই আলোচনা। আশ্চর্যের বিষয় হলো, মেয়েদের ফুটবলেও কিন্তু তারা সোনা জেতেনি কখনো। দুবার রুপা জিতেছিল—২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকে। নেইমারদের নিয়ে এত কথা হয়েছে, মার্তারাও যে আরাধ্য সেই সোনা এবারই জিততে মরিয়া ছিলেন, সেটা যেন চলে গিয়েছিল আড়ালে। কিন্তু সেমিফাইনালে এবার ছিটকে গেল ব্রাজিলের ফুটবলে সোনা জেতার সেই আরেক মিশন। গোলশূন্য ম্যাচে মার্তারা হেরে গেছেন পেনাল্টি শ্যুটআউটে। টাইব্রেকারের ৪-৩-এ জিতে ফাইনালে চলে গেছে সুইডেন। অন্য সেমিতে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মানি।
মেয়েদের ফুটবলের পেলে নামে বিখ্যাত, পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার মার্তা তাই ভেঙে পড়েছেন কান্নায়। একটা শিরোপার জন্য যে ভীষণ অপেক্ষা ছিল তাঁর। এই সুইডেনকে মার্তা-ম্যাজিকে গ্রুপ পর্বে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু আজ মারাকানায় ৭০ হাজার দর্শক থমকে গেলেন সুইডদের ফাইনালে ওঠার উৎসব প্রত্যক্ষ করে। আগের ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে জিততে হয়েছিল ব্রাজিলকে। ১৩ শট পর্যন্ত গড়ানো সেই টাইব্রেকারে মার্তা ব্যর্থ হয়েছিলেন।
কিন্তু আজ নিজে ঠিকঠাক বল জালে পাঠালেও তাঁর দুই সতীর্থের ভুলের মাশুল গুনলেন। ব্রাজিলের প্রথম মিসটাও আবার ক্রিস্টিয়ানের মতো ফুটবলার করেছেন, মেয়েদের অলিম্পিক ফুটবলে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড যাঁর। আন্দ্রেসার শটটিও ঠেকিয়ে দিয়ে ম্যাচের নায়িকা হয়ে গেছেন সুইড গোলরক্ষক হেডভিগ লিন্ডাল। সুইডেনও দ্বিতীয় শটটি মিস করলেও দালকভিস্তের শেষ শটটি ঠিকই পৌঁছে গেছে জালে। আর তাতেই প্রথমবারের মতো মেয়েদের অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে ইব্রার দেশ সুইডেন।
অন্যদিকে, ৩০ বছর বয়সী মার্তাকে হয়তো জাতীয় দলের হয়ে বড় কিছু না জিতেই শেষ টেনে দিতে হচ্ছে ক্যারিয়ারের! এএফপি।