নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা বিপুল পরিমাণ ভিওআইপি যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
বুধবার বিমানবন্দরের এয়ার ফ্রেইটের এক নম্বর গেটের বাইরে থেকে পৃথক অভিযানে এসব যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, হংকং, চীন থেকে গত ৩০ জুলাই এইচএক্স-৯০৬১ ফ্লাইটে একটি চালানে ৮৫১-২৫৬৯১৫৬২ মাস্টার এয়ারওয়ে বিল ও ২৪০ কার্টনের একটি শিপমেন্টের সঙ্গে ৬৩৫০৫৫ বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১৫ সেট ভিওআইপি যন্ত্রপাতি আসে। ১৫ সেট ভিওআইপি যন্ত্রপাতিকে এডাপ্টরের মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ৮ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে বুধবার এয়ার ফ্রেইটের ১ নম্বর গেট দিয়ে এসব খালাস করা হয়।
পণ্যের মধ্যে রয়েছে, 4 PON ports GEPON (Gigabite Ethernet Passive Optical Network) ও OLT (Optical Line Terminal)।
মতিঝিলের লেটি বিজনেসওয়ে নামে একটি প্রতিষ্ঠান এসব আমদানি করে। প্রতিষ্ঠানটি রুপসিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল সিঅ্যান্ডএফ’র মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণায় খালাস করে (এআইএন নম্বর-১০১০৯১৩২৮)।
আমদানি নিয়ন্ত্রিত এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে বিটিআরটিসির অনুমতি নিতে হয়, যা প্রতিষ্ঠানটি নেয়নি। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেটের বাইরে থেকে এগুলো জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, আইটি বিশেষজ্ঞদের মতে GEPON ও OLT এমন রাউটার যা সরাসরি ভিওআইপির কাজে ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে সিকিউরিটি সিস্টেমের অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকিসহ সাইবার ক্রাইম করা সম্ভব।
ড. মইনুল খান জানান, অপর একটি চালান গত ৯ আগস্ট হংকং, চীন থেকে ইওয়াই ৯৬০ ফ্লাইটে আসে। যার এয়ারওয়ে বিল ৬০৭-৬৯৪৩৬৪৩০।
এ চালানে রাউটারসহ কতগুলো বিটিআরসির অনুমোদনহীন যন্ত্রপাতি রয়েছে। মিরপুরের দ্য কম্পিউটার টুডে নামে একটি প্রতিষ্ঠান এসব আমদানি করে।
প্রতিষ্ঠানটি কাম ট্রেডার্স সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণায় খালাস করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জব্দ করা হয়। দু’টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিডি প্রতিদিন