অনলাইন ডেস্ক : জীবন এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছে। সর্বক্ষেত্রে এর ব্যবহার দেখলে মনে হয় সব সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়তো অনলাইন। এই নির্ভরশীলতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন বাণিজ্য শুরু করেছেন যৌনকর্মীরা। পাশ্চাত্য দেশে এসব আরও আগে থেকেই চালু থাকলেও সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভারতে অনলাইন যৌনতা বিক্রয় বেড়েই চলছে।সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে সাধারণ রাস্তায় দাঁড়ানোর থেকে যৌনকর্মীরা অনলাইনেই যৌনতা বিক্রির দিকে বেশি ঝুঁকছে। একাধারে যেমন সহজে কাস্টমার পাওয়া যায়, আবার পুলিশের কোনও সমস্যাও থাকেনা। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এমনটাই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে চালানো এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, মূলত এখন যৌনকর্মীরা ধরা পরার ভয় বিভিন্ন আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যৌনতাকে বিক্রির জন্যে ব্যবহার করছে। তারা সরাসরি মেইনস্ট্রিম ওয়েবসাইট যেমন ক্রেইগলিস্ট বা ব্যাকপেজকেও এড়িয়ে চলছে।
ওই সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে যে এই ওয়েবসাইটগুলিতে যৌন ব্যবসা চালানোর জন্যে যৌনকর্মীরা তাদের কোনও পরিচয় প্রকাশ্যে আনে না। ফলে আইনের চোখকে ধুলো দিয়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করতে পারেন যৌনকর্মীরা। এমনকি, রীতিমত বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা করছেন যৌনকর্মীরা। যার ফলে যৌনকর্মীরাও পছন্দ মতো ক্লাইন্ট খুঁজে পাচ্ছেন, তেমনই একজন খদ্দেরও পছন্দের যৌনকর্মীকে সরাসরি ডিল করতে পারছেন। এরফলে বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব হচ্ছে। যৌনকর্মীদের দাবি বর্তমানে ৮০ শতাংশ দেহব্যবসাই চলছে অনলাইনে। এই সমস্ত ওয়েবসাইটে যৌনকর্মীরা নিজস্ব ভাষা ব্যবহার করে খদ্দের ধরেন, যা কেউ প্রায় ধরতে পারে না।