নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে এখন মানবাধিকার রাষ্ট্রের বাইরে। দেশ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সত্যিকারে অর্থে দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। সুতরাং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দিয়ে জঙ্গিবাদ দমন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকার আমাদের সকল আহবানকে শুধু নাকচই করে না প্রত্যাখান করছে। এমতাবস্থায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।‘বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও বাকশালী পুলিশ কর্তৃক গুম, খুন ও নিগ্রহের শিকার’ ৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল নামক এক সংগঠন।সংগঠনের সিনিয়ির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান খান, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান, সহ সভাপতি নাজমুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন-ছাত্রদল নেতা মামুন খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০১০ সাল থেকে হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে। আমরা পূর্বেই বলেছি জোরে করে নিখোঁজ করে দেয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ। আজকে সভ্য পৃথিবীতে সকলের চোখের সামনে ঘটনাগুলো ঘটছে। অথচ বাংলাদেশ ও বিশ্ব বিবেক আজকে নিশ্চুপ।তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্য ১০০০ খুন, ৫০০ গুম, হাজারের ওপরের পঙ্গু, লাখ লাখ মামলা ও হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে আছেন। এখন দেশে আইনের শাসন নেই। গণতন্ত্রের কথা মুখে বললেও গতন্ত্রের লেশ মাত্র ও নেই। গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ সমস্যা সমাধানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিঃস্বার্থভাবে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু সরকার তা কর্ণপাত করেনি, প্রত্যাখ্যান করছে। জাতীয় ঐক্য হলে সরকার তাতে সুবিধা পাবে না। তাই তারা সব কিছুকে রাজনীতিক ভাবে দেখছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দিয়ে জঙ্গিবাদ বন্ধ হবে না। সকলে মিলে ঐক্য গড়ে তুলে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করতে হবে।
গণতন্ত্রের মোড়কে একদলীয় শাসন চলছে এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, একজন মানুষকে তুলে দেওয়া হলে এর জবাব নেই। এর জবাব কে দিবে? রাষ্ট্রকে এর জবাব দিতে হবে। রাষ্ট্র এখন একটি দলের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।