আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি চীন সীমান্তে নিরাপত্তার বিষয় কিছু কৌশলগত পরিবর্তন এনেছে। আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে একাধিক সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান, স্পাই ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ভারতের উত্তর-পূ্র্ব সীমান্তে মিসাইল রেখে তৈরি করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা বলয়। পূর্ব লাদাখে ট্যাঙ্ক দিয়ে ‘চিনের প্রাচীর’ তৈরি করেছে ভারত।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এই পুরো পরিকল্পনার লক্ষ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতে সেনাবাহিনী ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে যে ফারাক রয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে, সেটাই মুছে দেয়ার। ভারতীয় বিমানবাহিনী অরুনাচল প্রদেশে পশ্চিম সিয়াং-এ পাশিঘাট অ্যাডভান্সড ল্যানডিং গ্রাউন্ডও তাড়াতাড়ি চালু করার চেষ্টা করছে। এই এলাকাটিকে ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসেট’ হিসেবে বর্ণনা করে ভারতীয় বিমানবাহিনীর দাবি এখান থেকে যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার দুটোই ছাড়বে। কিরেন রিজিজু এর উদ্বোধন করবেন।
‘এএলজি’ চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো পূর্ব ভারতের আকাশপথে বিমান চলাচল ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এছাড়াও ভারতের পক্ষে আকাশপথে নজরদারি চালানোও অনেক সহজ হয়ে যাবে।
একইভাবে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জেও সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান এবং সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও নজরদারি চালানোর জন্যে থাকবে অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার পোসেইডন-৮আই এয়ারক্রাফ্ট। যার মূল লক্ষই হবে ভারত মহাসাগরের ওপর চীনের গতিবিধি লক্ষ্য রাখা।