নিউজ ডেস্ক : বিয়ের কয়েকদিন পরই স্বামী জানতে পারেন তার স্ত্রী যৌনকর্মী ছিলেন। এরপরই স্বামী পরিকল্পনা করেন কিভাবে স্ত্রীকে তার জীবন থেকে সরিয়ে দেয়া যায়।
স্ত্রীকে সরিয়ে দিতে গিয়ে একমনই এক কাণ্ড ঘটালেন স্বামী জানলে যে কেউ অবাক হয়ে যাবেন। স্ত্রীকে হত্যার জন্য দুইজনকে ঠিক করেন তিনি। ওই দুই খুনী এবং স্বামী স্ত্রীবে মারার জন্য কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
তারা ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে পারাবত-১০ লঞ্চের তৃতীয় তলার স্টাফ কেবিনে ওঠেন। আর সেখানেই ওই নারীকে হত্যা করা হয়।এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন মিনা বেগমের স্বামী শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মাইজার গ্রামের হালিম পাটোয়ারীর ছেলে আনিস পাটোয়ারী (১৮), আনিসের চাচাতো ভাই কালাম পাটোয়ারী (২৫) ও তার সহযোগী নওগাঁর পাকাপুর গ্রামের সাঈদ হাসানের ছেলে মো. তুষার (২০)।
বরিশাল নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী মিনা বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসা পারাবত-১০ লঞ্চের তৃতীয় তলার একটি কেবিন ভাড়া নেন আনিস পাটোয়ারী। রাত ২টায় স্ত্রী মিনাকে রেখে কেবিনের বাইরে বের হন আনিস। এ সময় ওই কেবিনে অন্য দুই পুরুষ (কালাম পাটোয়ারী ও মো. তুষার) প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর কেবিন থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে যাত্রী ও লঞ্চের আনসার সদস্যরা গিয়ে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পান।’
পরে যাত্রীরা মিনা বেগমের স্বামী আনিস পাটোয়ারী, তার দুই সহযোগী কালাম পাটোয়ারী ও মো. তুষারকে আটক করে আনসার বাহিনীর জিম্মায় রাখেন। মঙ্গলবার ভোরে লঞ্চটি ঘাটে পৌঁছালে আটককৃতদের কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়।
শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, গত রমজানে মোবাইল ফোনে মিনা বেগমের সঙ্গে আনিসের পরিচয় হয়। এরপর ওই মাসেই তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক দিন পর আনিস জানতে পারেন তার স্ত্রী যৌনকর্মী ছিলেন। এরপরই চাচাতো ভাই কালাম ও তার বন্ধু তুষারকে মিনা হত্যার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেন আনিস। হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী কুয়াকাটায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে লঞ্চে ওঠেন মিনা ও আনিস। এ সময় একই লঞ্চে ওঠেন কালাম পাটোয়ারী ও মো. তুষার।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আওলাদ হোসেন বলেন, হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।