আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি মুন মনে করেন, তার উত্তরসূরি হিসেবে মহাসচিব পদে একজন নারী এলে ভালো হয়।প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর কেটে গেলেও এখনো একজন নারীকেও জাতিসংঘের মহাসচিব পদে দেখা যায়নি। বান কি মুন বলেছেন, আটজন পুরুষ এ পদে এসেছেন। একজন নারীকে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আনার এখনই উপযুক্ত সময়। আলজাজিরা অনলাইনের এক খবরে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাঁচ বছর মেয়াদে টানা দুই বার জাতিসংঘের মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করছেন বান কি মুন। তার মেয়াদ শেষের পথে। তার স্থালাভিষিক্ত হওয়ার জন্য ১১ প্রার্থিতা করছেন। এরমধ্যে ছয়জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। তাদের মধ্যে একজনকে জাতিসংঘ মহাসচিব পদে নির্বাচিত করা হবে।
মহাসচিব বান কি মুন জানিয়েছেন, মহাসচিব কে হবে, তা তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এ পদে একজনের নাম চূড়ান্ত করে ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদে অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করে। অবশ্য মহাসচিব নির্বাচনে সাধারণ পরিষদের ভূমিকা নেই বললেই চলে। নিরাপত্তা পরিষদ যাকে অনুমোদন করে, সাধারণ পরিষদে তিনিই নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
বান কি মুন বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের সরকারে অথবা বিভিন্ন সংস্থায় অথবা এমনকি বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের অনেক বিশিষ্ট ও প্রখ্যাত নারী নেতা আছেন। তাহলে জাতিসংঘে না থাকার কোনো কারণ নেই।’
কারো নাম উল্লেখ না করে বান কি মুন বলেন, বিশিষ্ট ও প্রণোদিত অনেক নারী নেতা আছেন, যারা সত্যিই বিশ্বকে বদলে দিতে পারেন, যারা বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘এ আমার সবিনয় পরামর্শ। কিন্তু বিষয়টি নির্ভর করছে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর।’
যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়ার নোভাতোয় ৯৯ বছর বয়সি লিবা পেটারসনকে দেখতে গিয়ে সেখানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এক কথা বলেন। ১৮ বছর বয়সে শিক্ষার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এসে প্রথম কিছু দিন এ ব্যক্তির কাছে ছিলেন তিনি।
এবার প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ মহাসচিব পদে প্রার্থিতা করা সবার প্রকাশ্যে সাক্ষাৎকার নেওয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন বান কি মুন। তবে প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা ও যোগ্যতা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ দুটি জরিপ করেছে, যেখানে দুটিতেই নারী প্রার্থী তৃতীয় অবস্থানে আসে।