শুক্রবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ৫ই ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

তনুর ভাইয়ের বন্ধু সোহাগের সন্ধান মিলেছে

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১২, ২০১৬

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর ভাই আনোয়ার হোসেনের বন্ধু মিজানুর রহমান সোহাগের (২১) সন্ধান পাওয়া গেছে।নিখোঁজের ১৬ দিন পর মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তাকে তার বাড়ির পাশের নাজিরা বাজার সাকুরা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কাছে পাওয়া যায়।সোহাগের বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, তার চাচা রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে দেখেন সোহাগ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। তারপর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তবে সোহাগ কোথায় ছিল সে বিষয়ে কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘আমি ভালো আছি, ঠিকমত খাবার খেতে পেরেছি।’

231

সোহাগের ফিরে আসায় পরিবারে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। সেনানিবাস সংলগ্ন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নারায়ণসার গ্রামের নুরুল ইসলামের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সোহাগ তৃতীয়।সোহাগ ২০১৫ সালে কুমিল্লা সদর উপজেলার আলেকজান মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। বিদেশ যাওয়ার জন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।সোহাগের বাবা নুরুল ইসলাম জানান. ২৭ মার্চ রাত দেড়টায় রাতে সাদা পোশাকে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে সোহাগকে তুলে নিয়ে যায়। ৩০ মার্চ বুড়িচং থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়রি করা হয়।

 

 

তিনি বলেন, তনু হত্যার খবর টিভিতে দেখে তনুর ভাই তার বন্ধু বলে দাবি করেন সোহাগ। এরপর সোহাগ এলাকায় তনু হত্যাকাণ্ডে বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন। এসব অভিযোগে সোহাগকে র‌্যাব তুলে নিয়ে যায় বলে মনে করেন তার বাবা নুরুল ইসলাম।তনুর ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়া কাজীম উদ্দিন খন্দকার উচ্চ বিদ্যালয়ে সোহাগের সঙ্গে এক সঙ্গে পড়েছি। এ ছাড়া তার বাড়ির নিকটে কালাকচুয়া এলাকায় আমি ড্রাইভিং শিখতে যেতাম, সেখানে তার সঙ্গে কথা হতো। মাঝে মাঝে বিকালেও ওই এলাকায় গিয়ে তার সঙ্গে আড্ডা দিতাম।’

 

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার অদূরে জঙ্গলে তনুর লাশ পাওয়া যায়। ২১ মার্চ তার বাবা ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার ২২ দিনেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মৃত্যুর কারণ নির্ণয় ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেনি।