বৃহস্পতিবার, ২১শে জুন, ২০১৮ ইং ৭ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

কিবরিয়া হত্যা: পলাতক ১০ আসামির মালামাল ক্রোকের আদেশ

1456731684হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ১০ জনের মালামাল ক্রোকের আদেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ এই আদেশ দেন।

আদেশের সময় কারাগারে থাকা ১৪ জনের মাঝে ১১ জন এবং জামিনে থাকা আটজনের মাঝে ছয়জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ৩১ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে মুফতি আব্দুল হান্নান, মিজানুর রহমান, আবু ইউসুফ, বদরুল আলম, হাফেজ সৈয়দ নাইম, মাওলানা শেখ ফরিদ, আব্দুল মাজেদ, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, শরিফ সাহেদুল আলম, শেখ মাওলানা সালাহ উদ্দিন ও মহিবুল্লাহকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

আর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা ৮ জনের মাঝে বিএনপি কর্মী জয়নাল আবেদীন জালাল, জমির আলী, জয়নাল আবেদীন ওরফে মোমিন আলী, মোঃ তাজুল ইসলাম, মোঃ শাহেদ আলী ও মোঃ সেলিম আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত থেকে সময় নিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি একেএম আব্দুল কাইয়ূম ও আয়াত আলী। তবে কারাগারে আটক সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, সিলেটের মেয়র (সাময়িক বরখাস্তকৃত) আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের মেয়র জি কে গউছকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল হক চৌধুরী। আসামিপক্ষে ছিলেন জেলা বারের সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ। এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মাওলানা তাজ উদ্দিন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাইসহ ১০ জন পলাতক রয়েছেন।

কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। উভয় মামলায় মোট ৩২ জনকে আসামি করে সর্বশেষ সম্পূরক চার্জশিটট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১৪ জন কারাগারে, আটজন জামিনে এবং ১০ জন পলাতক রয়েছেন। হত্যা মামলাটির বিচারকার্য বর্তমানে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email