সোমবার, ১৯শে জুন, ২০১৭ ইং ৫ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের কূটনীতিককে প্রত্যাহারের নির্দেশ পাকিস্তানের

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ৬, ২০১৬

---

নিউজ ডেস্ক : জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ঢাকা থেকে পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহারের জেরে এবার ইসলামাবাদ থেকে বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে নিতে বলেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে ইসলামাবাদ থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

874f2c109b69a564379f317725b867dc-MAUSHIMI
কিন্তু কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে কেন বাংলাদেশ ফিরিয়ে নেবে, তা জানায়নি ইসলামাবাদ। জানা গেছে, ফারিনা আরশাদকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ যেমন পাকিস্তানকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বলেছিল, তেমনি মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে নিতে ঢাকাকে মৌখিকভাবে বলেছে ইসলামাবাদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মৌসুমী রহমানকে সরকার ঢাকায় ফিরিয়ে আনছে না। তাঁকে পাকিস্তান থেকে পর্তুগালে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁকে লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানো হতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সোহরাব হোসেনকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মৌসুমী রহমানকে নিয়ে সোহরাব হোসেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক) মোহাম্মদ ফয়সালের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় মোহাম্মদ ফয়সাল বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে মৌসুমী রহমানকে ইসলামাবাদ থেকে প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। কিন্তু কেন মৌসুমী রহমানকে বাংলাদেশ ফিরিয়ে নেবে, সে সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক।

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ফারিনা আরশাদকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে বলার কয়েক দিন পর গত ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে প্রত্যাহার করে নেয় ইসলামাবাদ। এর এক দিন পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পাকিস্তান হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব ফারিনা আরশাদকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিকভাবে হেনস্তা করেছে। এ ছাড়া গণমাধ্যমেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ধারাবাহিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর পর তাঁকে ইসলামাবাদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৫ সালে ফারিনাসহ পাকিস্তানের দুই সরকারি কর্মকর্তাকে ঢাকা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান। জঙ্গিদের অর্থায়নের অভিযোগে ওই বছরের ১২ জানুয়ারি বনানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পাকিস্তান হাইকমিশনের কনস্যুলার কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহার খানকে। এরপর পাকিস্তানের হাইকমিশন মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর ৩১ জানুয়ারি তাঁকে ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর পর থেকে টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দণ্ড দেওয়ায় পাকিস্তান ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে এবং জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব এনে সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়েছে। প্রতিবারই পাকিস্তানের এসব তৎপরতার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এ জাতীয় আরও খবর

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২
  • সুইফট টেকনিশিয়ানদের অবহেলায় রিজার্ভ চুরি?সুইফট টেকনিশিয়ানদের অবহেলায় রিজার্ভ চুরি?
  • নিজামীর রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু
  • পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ
  • এই সরকার অবৈধ, সংসদও অবৈধ : খালেদা জিয়া
  • পে স্কেলের ‘বৈষম্য ও অসঙ্গতি’ নিরসনে অনড় শিক্ষকরাপে স্কেলের ‘বৈষম্য ও অসঙ্গতি’ নিরসনে অনড় শিক্ষকরা
  • বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরম বন্ধু জ্যাকব আর নেই
  • হাজার হাজার গাড়ি ফেরির অপেক্ষায়হাজার হাজার গাড়ি ফেরির অপেক্ষায়
  • বিডিআর বিদ্রোহের সাথে খালেদার যোগসূত্র ছিল (ভিডিও)
  • তীব্র যানজটে জন-জীবন স্থবির
  • ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা, ক্লাস বন্ধ
  • পে-স্কেলে ‘অসঙ্গতি’, আজ থেকে ‘বন্ধ’ সব বিশ্ববিদ্যালয়