বৃহস্পতিবার, ২১শে জুন, ২০১৮ ইং ৭ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

শরণার্থী সংকট নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে ইইউভুক্ত দেশ

ইউরোপে সম্প্রতি প্রবেশ করা শরণার্থী সমস্যার ক্ষেত্রে সমঝোতায় পৌছেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠক করেন। সমঝোতা অনুযায়ী, অভিবাসীরা ইতালি, গ্রিস এবং হাঙ্গেরি থেকে অন্যান্য দেশে যাবে। এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়। ভোটে মধ্য ইউরোপের চার দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। তবে বেশিরভাগ ইইউ সদস্য এর পক্ষে ভোট দেয়। সম্প্রতি ইইউ দেশগুলোতে ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী প্রবেশ করেছে। -খবর বিবিসি ও এএফপি’র
 
মধ্য ইউরোপের কিছু দেশ শরণার্থী গ্রহনে ইইউ’র বাধ্যতামূলক কোটা বাস্তবায়নের ওপর জোর দিচ্ছে। তবে কিছু দেশ সেই কোটা বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ইইউ’র পরিকল্পনা যথেষ্ট নয়। চলতি বছর এই পর্যন্ত ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ৫ লাখ শরণার্থী বা অভিবাসী এসেছে। বছরের শেষার্ধ এই সংখ্যা ৮ লাখে পৌঁছাতে পারে।
 
হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং চেক রিপাবলিক এর আগে ইইউ’র কোটার বিরোধিতা করছে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, বাধ্যতামূলক কোটা হচ্ছে একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ। এদিকে জার্মানির রেল কর্তৃপক্ষ গতকাল জানিয়েছে, তারা রেকর্ডসংখ্যক শরণার্থী আগমনের কারণে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরির সঙ্গে তাদের ট্রেন সার্ভিস বন্ধ রাখবে।
 
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হাজার হাজার শরণার্থী বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরি ও অস্ট্রিয়ার সালজবুনা থেকে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় মিউনিখ নগরীতে এসেছে।
 
সাম্প্রতিক সময়ে রেকর্ডসংখ্যক শরণার্থী স্রোতের কারণে জার্মানি ১৩ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। জার্মান রেল কর্তৃপক্ষ ডয়চে বান এক অনলাইন বার্তায় জানায়, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে অস্ট্রিয়ার সলজবুর্গ ও হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট রুটে ট্রেন চলাচল প্রাথমিকভাবে ৪ অক্টোবর ২০১৫ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে যাত্রীরা অন্য রুটে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা যেতে পারবে।

Print Friendly, PDF & Email