বৃহস্পতিবার, ২১শে জুন, ২০১৮ ইং ৭ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া আসন্ন সিরিজ বাংলাদেশের কন্ডিশন অনেক বেশি সমস্যায় ফেলবে আমাদের: অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক

ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও এ্যাশেজ হারের লজ্জা নিয়ে চলতি মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয় অসিরা। তাদের ভাবনা জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের কন্ডিশন। আসন্ন সফরে বাংলাদেশের কন্ডিশনকেই বড় প্রতিপক্ষ মানছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তিনি বলেন, উপমহাদেশের কন্ডিশনে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে আউট করাই অনেক কঠিন বিষয়। তাই আসন্ন সিরিজেও বাংলাদেশের কন্ডিশন অনেক বেশি সমস্যায় ফেলবে আমাদের। উপমহাদেশের কন্ডিশনে সব সময়ই নড়বড়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। সর্বশেষ সিরিজের কথাই ধরা যাক। ২০১২/১৩ মৌসুমে ভারত সফরে চার ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে অসিরা। শুধু হারই নয়, দলের খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সও ছিলো যাচ্ছে তাই। উপমহাদেশে এমন বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফর করতে আসছে অস্ট্রেলিয়া।
উপমহাদেশের কন্ডিশনের সাথে এ্যাশেজ সিরিজ হারও যোগ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের ঝুলিতে। তবে সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের চাইতে বাংলাদেশের কন্ডিশনকেই অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অসিদের নতুন অধিনায়ক স্মিথ। স্মিথ বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা সম্ভব। যেটি উপমহাদেশের কন্ডিশনে খুবই কঠিন। সেখানকার ব্যাটসম্যানদের আউট করার জন্য অনেক ধরনের পরিকল্পনা করতে হয়। এমনকি অনেক সময় তাদের বিরক্ত করেও আউট করতে হয়। আসন্ন সিরিজেও বাংলাদেশের কন্ডিশন অনেক বেশি সমস্যায় ফেলবে আমাদের। তাদের ব্যাটসম্যান ও বোলাররা আমাদের বেশ সমস্যায় ফেলবে। তাই বাংলাদেশের কন্ডিশন আসল প্রতিপক্ষ আমাদের। সেখানে মানিয়ে নেয়াটাই আসল কাজ হবে।
এ্যাশেজ হারের পরই অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দল থেকে অবসর নিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক, ব্র্যাড হাডিন, রায়ান হ্যারিস, শেন ওয়াটসন ও ক্রিস রজার্স। ফলে তাদের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন এক-ঝাঁক তরুন খেলোয়াড়। বাংলাদেশ সফরের জন্য ঘোষিত দলের চিত্র তেমনটাই বলছে। স্কোয়াডের মধ্যে দু’জন নতুন খেলোয়াড় ও পাঁচজনেরও বেশি সামান্য টেস্ট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সাথে দলের দুই সেরা পেসার মিচেল জনসন ও জশ হ্যাজেলউড আছেন বিশ্রামের তালিকায়। দলের এমন ভারসাম্য নিয়ে মোটেও ভাবছেন না স্মিথ। এরপরও তিনি বাংলাদেশের কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাটা আসন্ন সফরে ভালোভাবে কাজে লাগাতে চান।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে রিভার্স সুইং সম্ভব। বাংলাদেশের এটা খুব বেশি করা যাবে না। তাই বাংলাদেশের কন্ডিশনের সাথে বোলারদের মানিয়ে নিতে হবে। এখানে স্পিনাররা ভালো ফল পেতে পারে। ম্যাচে দুজন স্পিনার এক সাথে খেলতে পারে। তবে আমার যা অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা বাংলাদেশের সফরে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাই। এটি খেলোয়াড় হিসেবে হোক বা অধিনায়ক হিসেবে হোক।

 

Print Friendly, PDF & Email