ধানমণ্ডিতে অবরোধ রাতে পিটিয়ে সরানো হলো শিক্ষার্থীদের
---
ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিনভর শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচির পর রাতে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ধানমণ্ডির মিরপুর রোডের রাপা প্লাজার সামনে ২৭ নম্বর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
ভ্যাট বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যার পরে সন্ধ্যায় রাজধানীর অবরোধ পয়েন্টগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা সরে যেতে থাকে। তবে ধানমণ্ডির ওই পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে থাকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভসহ (ইউডা) কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। সেখানে একদল যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর পুলিশ লাঠিপেটা করে। এ সময় এক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশও বিনা উসকানিতে লাঠিপেটা করেছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ভ্যাটের ব্যাপারে ব্যাখ্যা পাওয়ার পর অবরোধকারীরা দুটি পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে তাদের রাস্তা থেকে ‘লাঠি উঁচিয়ে’ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ড্যাফোডিল, ইউডাসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিরপুর রোডের রাপা প্লাজার কাছে অবরোধ শুরু করে। এ সময় তারা আসাদগেট, ধানমণ্ডি, সোবহানবাগ ও শুক্রাবাদের রাস্তা ঘুরে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় পুরো মিরপুর রোড অচল হয়ে যায়। বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ। পুলিশ মানিক মিয়া এভিনিউর সামনে থেকে যানবাহন ঘুরিয়ে দেয়।
দুপুরে প্রায় একই সময় ধানমণ্ডির সাতমসজিদ রোডে বিক্ষোভ সহযোগে রাস্তা অবরোধ করে স্ট্যামফোর্ড ও ইউল্যাবসহ সাতটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এতে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর থেকে শুরু করে পুরো সাতমসজিদ রোডে স্থবিরতা দেখা দেয়। সন্ধ্যার দিকে সাতমসজিদ রোডের অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
ধানমণ্ডি থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালনের অনুরোধ করেছি, বলেছি তারা যেন রাস্তা ছেড়ে দেয়। তবে যানজট নিয়ন্ত্রণে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে। তা ছাড়া রাতেও ২৭ নম্বর মোড়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ছিল। এতে সড়কে অচলাবস্থা ছিল।’
ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘অবরোধকারীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। পরে আমরা তাদের লাঠি উঁচিয়ে ধাওয়া করে সরিয়ে দিয়েছি। এতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’
তবে হামলার শিকার পক্ষের রাশেদ রহমান বলেন, ‘‘আমরা রাস্তা থেকে চলে যাব এমন সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হয়নি। এর মধ্যে একদল যুবক এসে আমাদের মারধর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। পরে আবার পুলিশের সঙ্গে আসে। তারা ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগানও দেয়।’’