অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার
---
ঢাকার দোহার উপজেলায় অজ্ঞাত পরিচিত (৪৫) এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে দোহার থানা পুলিশ। গতকাল দুপুর ১.৩০ সময় মুকসুদপুর এলাকা থেকে অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, মৈতপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় গোসলের ঘাটলায় একটি চিরকুট পাওয়া যায়। যাহাতে আন্ধার বিলে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে বলে লেখা ছিল। এসময় সমবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় জনতা আন্ধার বিলে গিয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন, পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গতকাল দুপুরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিডফোড হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। দোহার থানার ফুলতলা ফারির ইনচার্জ হাবিবুর রহমান জানান, লাশটির শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, অন্যত্র হত্যা করে লাশ এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় এক কনস্টেবলের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার: চুয়াডাঙ্গায় শান্তা নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ভোর ৪টার দিকে পুলিশ লাইনের আবাসিক কোয়াটারের নিজ ফ্ল্যাট থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শান্তা ইসলামের স্বামীর নাম হেলাল পারভেজ। তার কনস্টেবল নং ৬২২। ওই দম্প্রতি গত ৪ মাস ধরে পুলিশ লাইনের ওই আবাসিক ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন। পুলিশ জানায়, ভোর ৪টার দিকে হঠাত হেলাল পারভেজের আত্মচিৎকারে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা টের পেয়ে শান্তার কক্ষে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে দুপুরে সদর থানা পুলিশ ওই ফ্ল্যাট থেকে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের ইনচার্জ রিজার্ভ ইন্সপেক্টর (আরআই) আমিরুল ইসলাম জানান, কনস্টেবল হেলালের ছোট ভাইকে বাসায় রাখা নিয়ে কয়েকদিন আগে শান্তার সাথে তার স্বামীর বিরোধ তৈরি হয় বলে আমরা প্রাথামিকভাবে জানতে পেরেছি। এর কয়েকদিনের মাথায় সে আত্মহত্যা করলো। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন জানান, প্রাথামিকভাবে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে। মাত্র ৭ মাসের শিশু কন্যাকে রেখে কেন গৃহবধু শান্তা আত্মহত্যা করলো? আত্মহত্যার নেপথ্যে কি ঘটনা ছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে কোন উত্তর দেননি শান্তার বাবা গোফরান গাজী। তবে, চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার গোলাম বেনজীর জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নিহতের লাশের ময়না তদন্ত রির্পোট পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।