প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করবে বিজেপি
---
ক্ষমতায় এলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তবে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নিতেও দ্বিধা করবে না দলটি।
বিজেপি আজ সোমবার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। ওই ইশতেহারে দলটির পররাষ্ট্রনীতির অংশে এ কথা বলা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, লোকসভার ১৬তম নির্বাচনের প্রথম পর্বের দিন আজ দলের সদর দপ্তরে ৫২ পৃষ্ঠার ইশতেহার প্রকাশ করে বিজেপি। এ সময় দলটির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদিসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজেপির ইশতেহারে ভারতের অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নীতিগত অচলাবস্থার অবসান ও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার কথা বলা হয়েছে। সুশাসন ও সামগ্রিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন, শুল্ক ব্যবস্থার সংস্কার, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কালোটাকা দেশে ফেরত, মাদ্রাসাশিক্ষার আধুনিকায়ন প্রভৃতি বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।
অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে দলটি। সংবিধানের অধীনে থেকে এ বিষয়ে কাজ করবে তারা।
বিজেপির ইশতেহারে পররাষ্ট্রনীতি অংশে সবার আগে জাতীয় স্বার্থ ও সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধের কথা বলা হয়েছে।
ভারতের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে রাজনীতির পাশাপাশি অর্থনীতি, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হবে। এসব ক্ষেত্রে সমতা ও পারস্পরিক সমঝোতার নীতি অনুসরণ করা হবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অগ্রগতি ও শান্তিতে বিশ্বাসী বিজেপি, যা এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়তে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। মোদির দল শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল ভারত গড়বে। দলটির পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে জাতীয় স্বার্থ। পররাষ্ট্রনীতি হবে বাস্তবমুখী ও ইতিবাচক।
সন্ত্রাসবাদ ও বৈশ্বিক উষ্ণতার বিষয়ে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করবে বিজেপি। তবে প্রয়োজনে শক্ত অবস্থান ও কঠোর পদক্ষেপ নিতেও দ্বিধা করবে না।
সার্ক ও আসিয়ানের মতো আঞ্চলিক ফোরামগুলোকে শক্তিশালী করার পক্ষে বিজেপি।
বিশ্বব্যাপী হয়রানির শিকার হিন্দুদের জন্য ভারত নিরাপদ আশ্রয় হবে বলেও বিজেপির ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজেপির সভাপতি রাজনাথ সিং দাবি করেছেন, ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকার তাদের ইশতেহার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। তবে বিজেপি যদি তাদের ইশতেহারের অংশবিশেষও বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে মহাশক্তিধর দেশে পরিণত হবে ভারত।
মোদি দাবি করেছেন, বিজেপির ইশতেহারে ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি বলেছেন, সুশাসন ও উন্নয়নই হবে তাঁর দলের প্রধান কাজ।
এ জাতীয় আরও খবর
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া খালেদা জিয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনের আহ্বান
- দুনিয়া বলছে দেশে মানবাধিকার নেই: খালেদা জিয়া
- উইন্ডিজকে ১১৫ রানে আটকে ফেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা
- শিগগিরই আসছে মাইক্রোসফটের স্মার্টওয়াচ
- সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তুতি মূলক সভায় মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন। দলের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তৃনমূলের ভূমিকা অপরিসিম
- ‘মোদি চা’ বনাম ‘রাহুল দুধ’
- নিখোঁজ বিমান নিয়ে আশার আলো
- সদরঘাটে ইচ্ছামতো টোল আর কুলি ভাড়া আদায়
- পুরো দেশ গ্রামীণফোনের থ্রিজির আওতায় এল
- শেষটা দেখে ফেললেন যুবরাজ?
- কলেজের ফটক বন্ধ করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ
- নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা নিয়ে ত্রিমুখি লড়াই!