শুক্রবার, ৩০শে জুন, ২০১৭ ইং ১৬ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জাতীয় সংগীতে প্রেরণা খুঁজছে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দল

AmaderBrahmanbaria.COM
মার্চ ২৬, ২০১৪

---

মিরপুরের গ্যালারিতে আমার সোনার বাংলা গাইল বাংলাদেশ দল। ছবি: শামসুল হক‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার আয়োজনে শামিল হয়েছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও। প্যারেড গ্রাউন্ডে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন সাকিব-মুশফিক-মাশরাফিরা। অবশ্য বাংলাদেশ দল এই সুর মিলিয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকেই।



ক্রিকেট অঙ্গনে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। প্রথম রাউন্ডের শেষ পর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে হতাশাজনক হারের পর গতকাল সুপার টেনের প্রথম ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছে মুশফিক বাহিনী। আজ বুকের মধ্যে দেশপ্রেমের শক্তিটা যেন নতুন করে ঝালিয়ে নিলেন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ক্রিকেটাররা। আমার সোনার বাংলা গেয়ে হয়তো নতুন করে উজ্জীবিত হওয়ার চেষ্টা করলেন।



জাতীয় সংগীত যে সত্যিই প্রেরণা জোগায়, সেটা বলেছেন মাশরাফিও, ‘জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় সবার ভেতরেই অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করে। আজকেও সেটা হয়েছে এবং খুবই ভালো লাগছে, কারণ বাংলাদেশের সবাই একসঙ্গে গানটা গেয়েছে। আমরা এই গানটা গেয়েই মাঠে খেলতে নামি এবং এটা সত্যিই উজ্জীবিত করে।’



সবচেয়ে বেশি মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত গাওয়ার এ রেকর্ডটির মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে পরিচিত হবে বাংলাদেশ। ক্রিকেট অঙ্গনেও যে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন, সেই অঙ্গীকার করেছেন মুশফিকও, ‘আমরা চেষ্টা করি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে। আশা করব যেন ভবিষ্যতে আরও ভালোভাবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পারি। এই অনুষ্ঠান অনেক বড় একটা বার্তা। আমরা চেষ্টা করেছি, সেটার সঙ্গে থাকার এবং আমরা ভবিষ্যতেও থাকব।’



‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে সবার মধ্যে উত্সাহ-উদ্দীপনা তৈরি করা যাবে বলেই আশা করছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। লাখো কণ্ঠের সঙ্গে গলা মিলিয়ে মুশফিকরাও সত্যিই উজ্জীবিত হতে পারবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।