সৌদি ফেরত নারীর শাহজালাল বিমানবন্দরে আত্মহত্যার চেষ্টা
নিউজ ডেস্ক।। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা এক নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দরের তিন তলায় টয়লেটে তিনি কিটনাশক জাতীয় কিছু পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে তাকে ব্রাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তারা। ওই নারীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল থানা এলাকায়। দেশে ফেরার পর সাভার এলাকার জিরাবো এলাকায় বোনের বাসায় থাকেন।
বিমানবন্দর থানার ওসি নূরে আযম মিয়া বলেন, ওই নারী একমাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার তিনি তার লাগেজ নেয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসেন। পরে টয়লেটে গিয়ে কিছু পান করেন। এরপর বিষয়টি টের পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবগত করে। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা ও পরে সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের একটি সূত্রে জানা গেছে, চিরকুটে ও বাংলাদেশ দূতাবাস ও সৌদি আরব দূতাবাসকে সেফ হাউজে থাকা গৃহকর্মীদের বাঁচানোর অনুরোধ করা হয়েছে। চিরকুটে উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে গৃহকর্মীদের দিয়ে অনেক খারাপ কাজ করানো হয়। শেষে মরতে বাধ্য করল লেখার পর চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
কুর্মিটোলা জেনারলে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. তাহমিনা ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ওই নারী দুপুর ২টার দিকে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে কোনো আত্মীয়-স্বজন ছিল না। তাকে বিমানবন্দরের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে ঐ নারী জানিয়েছেন, তিনি ২০১৬ সালের মার্চে সৌদি আরবে যান। সেখানে একটি কোম্পানীতে কিছুদিন কাজ করেন। কিন্তু সেখানে ঠিকমতো বেতন দেয়া হয়নি। পরে লোকমান নামের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। লোকমান তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাত মাস ধরে নির্যাতন করেন। দেশে এসে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছিলেন লোকমান। কিন্তু লোকমান তা করেননি। ওই নারী আরো বলেন, সৌদিতে অনেক বাংলাদেশি নারী শ্রমিক আছেন। তাদের ওপর গোলাম, ফাহাদ ও পিওন মেহেদী অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে।