মৃত্যুর দু’মাস পর জানা গেল তিনি খুন হয়েছেন
চিকিৎসকের মৃত্যুর দু’মাস পর জানা গেল তাকে খুন করা হয়েছে। অথচ দুই মাস আগে সেটা বুঝতেই পারেনি কেউ। মনে করা হচ্ছিল স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসকের। বিষয়টি জানাজানি হতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের কলকাতার মেঘনাথ সাহা সরণিতে।
ইতোমধ্যেই পুলিশ খুনের মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। চলতি বছরের মে মাসে মৃত্যু হয় চিকিৎসক চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরীর। বাড়ি থেকেই তার অচেতন দেহ উদ্ধার হয়। ওই সময় আত্মীয়-পরিজনরাই তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান।
চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করলেও, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আত্মীয়রা। অবশেষে ১০ জুলাই রিপোর্ট আসার পর হতবাক পরিজনরা।
জানা যায়, চান্দ্রেয়ীকে কেউ শ্বাসরোধ করার পর, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। পুলিশের সন্দেহ, ঘনিষ্ঠ কেউ তাকে খুন করেছে। ‘নিখুঁত’ ভাবে পরিকল্পনা মাফিক চান্দ্রেয়ীকে খুন করা হয়েছে। যাতে কারো সন্দেহ না হয়। চান্দ্রেয়ীর উপর কার আক্রোশ? কে তাকে খুন করতে পারে? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
ইতোমধ্যেই তার বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জেরা করা হচ্ছে তার ভাইকেও। বাবার মৃত্যুর পর বাড়িতে মা, ভাইয়ের সঙ্গে চান্দ্রেয়ী থাকতেন। বাড়িতে প্রবেশ কিংবা বের হওয়ার জন্য চারটি পথ। তার মধ্যে একটি বন্ধ ছিল কয়েক মাস ধরে। যে দিন ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন ঘরের দরজা খোলাই ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ে করেননি ৪৮ বছর বয়সী চান্দ্রেয়ী। বাবা মারা যাওয়ার পর কারো সঙ্গে খুব একটা বেশি কথা বলতেন না। ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না বলেই জানা গেছে।