রাজপথের আন্দোলনই খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ: মওদুদ
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজপথের আন্দোলনই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াই আমরা চালিয়ে যাব ঠিকই। কিন্তু তাতে তার মুক্তি আসবে বলে মনে হয় না। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সবুজবাংলাটোয়েন্টিফোর ডটকম নামে একটি ওয়েব পোর্টালের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা: নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মওদুদ আহমদ।
আরও : জোড়া ব্রেনের রাবেয়া-রোকেয়া: দ্বিতীয় অপারেশনে ৩০-৫০ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি লাগবে
তিনি বলেন, আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করছি, কিন্তু পেরে উঠছি না। কারণ নিম্ন আদালত সম্পূর্ণভাবে সরকারের অধীনে। বিচারকরা সম্পূর্ণভাবে সরকারের ইচ্ছামতো কাজ করছেন। খালেদা জিয়ার জামিন, আদালতে আনবে কি আনবে না, সবকিছু নির্ভর করছে নিম্ন আদালতের ওপর। আমি বিশ্বাস করি, খালেদা জিয়া জামিন পাবেন। কিন্তু বিলম্বিত হবে। সরকার ইচ্ছা করে বিলম্বিত করবে।
মওদুদ আহমদ আরও বলেন, আমাদের একটিই লক্ষ্য—গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তার জন্য সামনে আমাদের তিনটি কর্মসূচি থাকবে। তা হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে জনগণকে গণআন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং সেই আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ভারত সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলেন যে ভারতকে যা দিয়েছি, তা কখনো ভুলতে পারবে না। এর চেয়ে নির্লজ্জ, অপমানজনক কোনো বক্তব্য জাতির জন্য হতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা করি। তিনি কীভাবে এই কথা বললেন। মানুষ জানে আপনি ভারতকে কী দিয়েছেন। সবই দিয়েছেন। তা আজ স্বীকার করছেন। আপনি জাতীয় স্বার্থ নষ্ট করে ভারতকে দিচ্ছেন। তা তো আপনি করতে পারেন না। ১৬ কোটি মানুষকে আপনি আঘাত দিয়েছেন। এর জবাব আপনাকে দিতে হবে।
সংগঠনের প্রধান সম্পাদক আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।