সিএনজি চালক সাদেকের ওস্তাদ ‘গরম’!
সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সাদেক আলী গাজীর ওস্তাদ প্রকৃতির ‘গরম’। এই গরমই তাকে উদ্ভাবনী শক্তি যুগিয়েছে, সিএনজি চালিত অটোরিকশার ছাউনিতে লতা জাতীয় জীবন্ত উদ্ভিদ রোপন করে পরিবহনের ভেতর যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক করতে।
এ ছাড়াও বৃক্ষরোপনে সচেতনতা বৃদ্ধি, যানবাহনও বনায়নের জন্য উপযুক্ত- এমন তথ্যও প্রচার হচ্ছে ওই পদ্ধতির মাধ্যমে বলে মনে করেন সাদেক আলী।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নবীনগর গ্রামের সন্তান সাদেক আলীর দেখা পাওয়া যায় মিরপুর স্টেডিয়ামের ৪ নম্বর গেটে।
আরও : জোড়া ব্রেনের রাবেয়া-রোকেয়া: দ্বিতীয় অপারেশনে ৩০-৫০ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি লাগবে
এই বুদ্ধি কে দিল প্রশ্ন করতেই খই ফোটার মতন উত্তর আসে- টিনের চালও গরম হয়, সিএনজির ত্রিপলও গরম হয়। ২০১৫ সালে মারাত্মক গরম হইছিল। গরম থেইকা বাচতে এইটা বানাই। আমার ওস্তাদ গরম। গরমই এই কাজ আমারে শিখাইছে।
সাদেকের সিএনজি অটোরিকশার ভেতরে প্লাস্টিকের ফুল, ফুলগাছ রাখা। যাত্রীর হেলানের পেছনে প্লাস্টিকের সবুজ ঘাস রাখা দেখা গেছে।
স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানসহ মিরপুর সাত নম্বর সেকশনে বাস করেন সাদেক। ভাড়ায় চালিত অটোরিকশায় এমন করায় মালিক কিছু বলে না?- প্রশ্নে সাদেক বলেন, আগে বলত, এখন প্রশংসা করে।
তার কাছ থেকে এই কাজ শিখে এরই মধ্যে কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক তা বাস্তবায়িত করেছেন। সাদেক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনে একটা গাড়ি এমনে সাজাইছে, ঢাকায় আছে ৪টা গাড়ি। এরা আমার কাছ থেইকা শিখছে।