মাহে রমজানে যে আমলগুলো বেশি করবেন
রোজা রাখা: ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি হলো রোজা। আর রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। মহান আল্লাহ বলেন, “সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে রোজা পালন করে।” (সুরা বাকারা : আয়াত : ১৮৫)
কোরআন খতম ও তিলাওয়াত: মাহে রমজানে যেহেতু প্রতিটি ইবাদতের সাওয়াব ৭০গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাই এ মাসে যথাসাধ্য বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। মহানবী (সা.) বলেছেন- রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবেৃ। (আহমাদ : হাদিস ৬৬২৬)
তারাবি পড়া: সালাতুত তারাবি পড়া এ মাসের অন্যতম আমল। তারাবি পড়ার সময় তার হক আদায় করতে হবে। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমজানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি : হাদিস ২০০৯)
তাওবা ও ইস্তেগফার করা: সর্বদা তাওবা করা ওয়াজিব, বিশেষ করে এ মাসে তো বটেই। এ মাসে তাওবার অনুকূল অবস্থা বিরাজ করে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ ক্ষমা করাতে পারেনি, তার নাক ধুলায় ধূসরিত হোক। (জামেউল উসুল : হাদিস ১৪১০)
সদকা বা দান: প্রখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেন, মহানবী (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল। আর রমজানে তাঁর বদান্যতা আরো বেড়ে যেত। (মুসলিম)
ইতিকাফ: হযরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মহানবী (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। (মুসলিম : হাদিস ১১৭১)
লাইলাতুল কদর তালাশ করা: রমজান মাসে এমন একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল কোরআনের ঘোষণা, কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর, আয়াত ৪) রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব পাওয়ার আশায় ইবাদত করবে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি : হাদিস ৩৫)