কাতারে প্রবাসীদের বেতন বাড়তে পারে
নিউজ ডেস্ক : প্রবাসী শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে কাতার। দেশটির শ্রম অধিকার বিষয়ক বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন আশা করছে, চলতি বছরের শেষ দিকে কাতার প্রবাসীদের মজুরি বাড়াতে পারে।
রাশিয়া বিশ্বকাপের পর যেহেতু আগামী ২০২২ সালে আয়োজক হচ্ছে কাতার, সেহেতু শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর একটা চাপ রয়েছে।
মূলত এ কারণে প্রবাসীদের বেতন বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত নভেম্বরের পর এটিই হবে গ্যাস সমৃদ্ধ দেশটিতে শ্রমিকদের প্রথম মাসিক মজুরি সংস্কার।
আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শারান বুরো জানিয়েছেন, এটা প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ভালো খবর। মজুরি বাড়ানোর এই উদ্যোগ চলতি বছরেই বাস্তবায়ন হতে পারে বলে আশা করেন তিনি।
তবে কি পরিমাণ মজুরি বাড়বে- তা উল্লেখ করেননি তিনি। বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম মূল্যায়ন করার পর নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশে প্রতি মাসে যে পরিমাণ রেমিটেন্স প্রবাসীরা পাঠান, তার অর্ধেকের বেশি আসে কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। কাতার ছাড়া এই তালিকায় রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত ও বাহরাইন।
বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তির বড় অংশই আছে এই তেল সমৃদ্ধ দেশগুলোতে।
এ অবস্থায় ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো হলে কাতার থেকে আসা রেমিটেন্সেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আগের তুলনায় বেশি অর্থ পাঠাতে পারেন সে দেশে থাকা বাংলাদেশিরা।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গেলো দুইদিন দোহায় কাতারের শ্রমমন্ত্রী ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর শারান বুরো এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শুরুতে কাতারে একজন প্রবাসী শ্রমিকের ন্যূনতম বেতন ধরা হয় ৭৫০ রিয়েল বা ২০৬ ডলার। এর সঙ্গে চাকরিদাতার থেকে তিনি থাকা-খাওয়া ও স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকেন।
সে হিসেবে ৭৫০ রিয়েল ন্যূনতম বেতন খুবই কম। শারান বুরো বলেন, আমার মনে হয়, কাতারে একজন প্রবাসী শ্রমিকের বসবাসের জন্য এই মজুরি যথেষ্ট নয়।