শুক্রবার, ৪ঠা মে, ২০১৮ ইং ২১শে বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

চমক দেশীয় হাইব্রিডে, প্রতি বিঘায় ৩২ মণ!

বাংলাদেশে বোরো মৌসুমে হাইব্রিড ধান চাষের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক সময়ে বীজ বপন, চারা রোপণ এবং উন্নত পরিচর্যার মাধ্যমে এই মৌসুমে হাইব্রিড ধান চাষ করে দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।

তবে মাত্র ১১ শতাংশ জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষ হয়। বোরো মৌসুমে ১০ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষ হয়। মোটা-আঠালো ভাত ও বীজের দাম বেশি হওয়াই দেশে হাইব্রিড ধান জনপ্রিয়তা পায়নি।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গত ২০১৬ সালে বোরো মৌসুমের জন্য স্বল্প মেয়াদি ও অধিক ফলনশীল একটি হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এটা হাইব্রিড ধান-৫ নামে পরিচিত। জাতীয় বীজবোর্ড ২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৯০তম সভায় সারা বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

এরপর থেকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরে নানা গবেষণা পরিচালনা করে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে হাইব্রিড রাইস বিভাগ সাতক্ষীরা, হবিগঞ্জ, বরিশাল, গোবিন্দগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং ফরিদপুরে সফলতা অর্জন করেছে। বোরো ধানের মতো খরচ করে প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশ) ৩২ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে।
২০১৯ সালের বৌরো মৌসুম থেকে সারাদেশে  এই ধান কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ফলে হাইব্রিড জাতের এই ধান প্রথম পর্যায়ে কৃষকের মাঠ ভরিয়ে দিতে আসছে। হাইব্রিড-০৫ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে। হাইব্রিড ধানের বীজ মানেই বাংলাদেশের চীন-নির্ভরতা। তবে হাইব্রিড ০৫ বিস্তার লাভ করলে আর চীনের ‍ওপর নির্ভরতা থাকবে না। হাইব্রিড ধানের বীজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য চীন ও বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করে আসছে। এর ফলে ২০০১ সালে হাইব্রিড- ০১, ২০০৮ সালে হাইব্রিড- ০২, ২০০৯ সালে হাইব্রিড- ০৩, ২০১০ সালে হাইব্রিড- ০৪ এবং ২০১৬ সালে হাইব্রিড- ০৫ অবমুক্তির বছর।

তবে এবার প্রথম চীনের সহায়তা ছাড়াই ২৩-২৪% অ্যামাইলোজযুক্ত হাইব্রিড ধানের জাত

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

ঢাকার সড়কে ঝাড়ুদার গাড়ি নামিয়েছে ডিএনসিসি

তাসফিয়ার শরীরে পৈশাচিক নির্যাতনের চিহ্ন

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজারে ওআইসি প্রতিনিধিদল

দেশে ইলিশ বিপ্লব

ঢামেকের মর্গে রাখা শিশুর মুখাংশ খেয়ে ফেলল ইঁদুর

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে বায়ুদূষণ রোধের পরামর্শ বার্নিকাটের