ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা সন্ত্রাসী : ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকার সীমান্তে নিজেদের বসতবাড়িতে ফেরার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশ নেয়া কোনো ফিলিস্তিনি নিরপরাধ নয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান।
তিনি এসব শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন।-খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
পূর্ব পুরুষদের বসতভিটায় ফিরে যাওয়ার দাবিতে নিরস্ত্র শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তারা সবাই হামাস সদস্য।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নির্বিচার গুলিতে নিহিত আলোকচিত্র সাংবাদিক ইয়াসের মুরতজা হত্যাকাণ্ডে তদন্তের দাবিরও সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, ওই গুলিবর্ষণের তদন্তের দাবি হচ্ছে প্রতারণা।
ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের ছদ্মবেশে বহু হামাসকর্মীকে আমরা বিক্ষোভে দেখেছি। সাংবাদিকদের আমরা সীমান্তের কাছে আসতে দেখেছি, ড্রোন ব্যবহার করছিলেন। আমরা তাদের এমন সুযোগ দিতে পারি না।
তারা হামাসের কাছ থেকে বেতন পেয়েই সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছেন বলে দাবি ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।
প্যারিসভিত্তিক রিপোর্টাস উইদাউট বার্ডারসের সেক্রেটারি ক্রিস্টোফার ডেলিওর বলেছেন, মুরতজাকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরাইলের সাংবাদিক ইউনিয়ন মুরতজা হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যা দাবি করে বলেছে, একটি গণতান্ত্রিক দেশের সেনাবাহিনী কখনও দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করতে পারে না।
১৯৪৭ সালে ইহুদি সশস্ত্র গোষ্ঠীর জাতিগত নির্মূল অভিযানের মুখে সাত লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ বাঁচাতে তাদের বসতভিটা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের দখল করে নেয়া এসব ঘরবাড়ি উদ্ধারে গত ৩০ মার্চ থেকে ‘মার্চ ফর রিটার্ন’ বা ঘরে ফেরা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত গুলি চালিয়ে ৩০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন ইসরাইলি সেনারা।