‘ধর্ষিত’ কিশোরীর বাবার অস্বাভাবিক মৃত্যু, চাপে যোগি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহুত্যার চেষ্টা করেছিল এক কিশোরী। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হলো সেই কিশোরীর বাবার।
গত রবিবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর মেয়ের পাশাপাশি তাকেও থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশের দাবি, পেটে ব্যথার অভিযোগ করায় বিচার বিভাগীয় হেফাজত থেকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি কিশোরীর বাবাকে।
অন্যদিকে পরিবারের দাবি, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। ৫০ বছর বয়সী পাপ্পু সিংহকে পরিকল্পিতভাবেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ নিয়ে যোগি আদিত্যনাথ মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। তার বক্তব্য, গোটা ঘটনা দুঃখজনক। দোষীদের বিচার করা হবে না। শেষ খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় পাঁচ পুলিশকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কিশোরীর অভিযোগ, বেশ কয়েকজনকে নিয়ে গত বছর উন্নাও কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ তাকে ধর্ষণ করেন। কুলদীপকে আটকের দাবি নিয়ে পুলিশের কাছে যান ওই কিশোরী। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেন।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু এফআইআর দায়েরের চেষ্টা করলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিবাদে রবিবার পরিবার পরিজনদের নিয়ে যোগি আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে যাই। সেখানেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করি।
তবে পুলিশের তৎপরতায় আত্মহত্যার চেষ্টা সফল হয়নি। পরে তাদের গৌতমপল্লি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, সেখানেও ওই কিশোরী এবং তার জনা কয়েক আত্মীয় ফের আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তর প্রদেশের বিরোধী শিবির ঝাল ঝাড়ছে যোগি সরকারের বিরুদ্ধে। অনেকেরই প্রশ্ন, বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বলেই কি কিশোরীর বাবাকে ‘হত্যা’ করা হলো? গোটা ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট স্তরের তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।