ডিপিএলে রেকর্ড গড়ে এক ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি
স্পোর্টস ডেস্ক : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে এনামুল-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন আবাহনী। এর আগে এই রেকর্ডটি তাদেরই ছিল।শুক্রবার সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর গ্রাউন্ডে ২০১৬ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি মোহামেডানের বিপক্ষে করা ৩৭১ রানে টপকে ৩৯৩ রানের পাহাড়সম টার্গেট দাড় করায় পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বর দল প্রাইম দোলেশ্বরের সামনে।
আবাহনীর দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসাইন শান্তর ওপেনিং জুটি থেকে আসে ২৩৬ রান। ১২৬ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ১২৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন জাতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৬ বকরেন ১২১ রান। তাদের খুনে ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয় দোলেশ্বরের বোলারা। বিজয়-শান্ত বিদায়ের পর দোলেশ্বর বোলাদের বিপদ আরও বাড়ে।
শেষ দিকে ভারতের বিহারীর ৩৬ বলে ৬৬ ও মিথুন আলীর ২৪ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ডিপিএলের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়ে আবাহনী।
৩৯৪ রান তাড়া করেতে নেমে শুরুতেই তাসকিনের গতির মুখে বিপর্যস্ত প্রাইম দোলেশ্বর। মাত্র ৩৩ রান তুলতেই ২ ওপেনারকে হারায় প্রাইম। উইকেট দুটি শিকার করে অফ ফর্মে থাকা গতি তারকা তাসকিন আহমেদ। দোলেশ্বরের গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস এদিন মাত্র ১৪ রান করে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন।
এরপরই শুরু হয় মার্শাল আইয়ুব ও ফজলে মাহমুদ অধ্যায়। ক্রিকেটে শেষ বলে কিছু নেই সেটা তারা আরেক বার প্রমাণ করতে যাচ্ছিলেন। প্রায় অবিশ্বাস্য এক ম্যাচে ধীরে ধীরে জয়ের স্বপ্ন বুনতে শুরু করে প্রাইম দোলেশ্বর। আইয়ুব ও ফজলে মাহমুদ ৪র্থ উইকেট জুটিতে চার-ছক্কা বারুদে আসে ২০৭ রান। কিন্তু বৃষ্টি নেমে দুজনের ব্যাটের সব বারুদ ভিজিয়ে দিল!
তাসকিনের বলে সেঞ্চুরি করে ফজলে মাহমুদের নিলেও ১০৮ রানে অপারাজিত থাকেন মার্শাল আইয়ুব।৩ ছক্কা আর ৯ বাউন্ডারি মারেন মার্শাল, ৪ ছক্কা ও ৯ বাউন্ডারি এসেছে মাহমুদের ব্যাট থেকে।
বৃষ্টি নামায় ৩৪.১ ওভারে ২৬৪ রানের লক্ষ্য নিয়েও দোলেশ্বরের কোনো ব্যাটসম্যান চার-ছক্কা মারতে পারেননি! ৩৪.১ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪৪ রানে থেমেছে দোলেশ্বর। ডি/এল পদ্ধতিতে ২০ রানের জয় তুলে নেয় আবাহনী।
ম্যাচ সেরা হয় এনামুল হক বিজয়। আবাহনীর হয়ে ৩টি উইকেট নেয় জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নিজেদের অবস্থান মজবুত করে মাশরাফির আবাহনী।