বিক্ষোভে উত্তাল গাজা, ইসরায়েলি গুলিতে নিহত ৫
ভূমি দিবসের বিক্ষোভে উত্তাল গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ৫ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। শুক্রবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনির সঙ্গে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে কয়েকশ বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।
ছয় সপ্তাহ ধরে চলমান ফিলিস্তিনিদের এই বিক্ষোভ চূড়ান্ত সংঘর্ষে রূপ নিয়ে গাজার ৪২তম ভূমি দিবসে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, চলমান বিক্ষোভে অন্তত ৫ জন নিহত ও আরো ৩৫০ জন আহত হয়েছে। হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, সীমান্ত বেড়ার পাশের অন্তত পাঁচটি অবস্থানে ১৭ হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতেই প্রধান উসকানিদাতাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ।
সীমান্ত গুড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিরা ঢুকে বিক্ষোভ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে তেলআবিব। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার গাজা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে।
যে কারণে বিক্ষোভ
বিক্ষোভের জন্য ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েল সীমান্তের কাছে অন্তত পাঁচটি ক্যাম্প স্থাপন করেছে। মিসর সীমান্তের রাফাহর উত্তরাঞ্চল থেকে বেইত হেনোন পর্যন্ত এসব ক্যাম্প বসানো হয়েছে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনীর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অবৈধভাবে দখলের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করে ফিলিস্তিনিরা।
বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে সেই সময় অন্তত ছয়জনের প্রাণহানি ঘটে। তখন থেকেই প্রত্যেক বছর ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নিহতদের স্মরণে ৩০ মার্চকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে এই বিক্ষোভ করে আসছে। আগামী ১৫ মে এই বিক্ষোভ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্ত্যুচুত হয়। ইসরায়েলি অবৈধ ভূমি দখলকে ফিলিস্তিনিরা বিপর্যয় হিসেবে মনে করে।
ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজ ভূখণ্ড ফেরতের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে ইসরায়েল বলছে, তাদের উচিত গাজা এবং পশ্চিম উপত্যকায় ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা, জেরুজালেম পোস্ট।