সিরিয়া থেকে শিগগিরই সেনা প্রত্যাহার: ট্রাম্প
সিরিয়া থেকে শিগগিরই সেনা সরানোর কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ শুক্রবার ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নষ্ট করেছে।
ট্রাম্প এ কথাও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আইএসকে হঠাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দখল করা অঞ্চল থেকে তাদের তাড়ানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে অবকাঠামো নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আমরা আইএসকে বিতাড়িত করেছি। শিগগিরই সিরিয়া থেকে সরে আসব। অন্যদের এখন দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ৭ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। সেখানে স্কুল নির্মাণের পর উড়িয়ে দেওয়া হয়। আবার তা তৈরি করেছি। তারা আবারও উড়িয়ে দিয়েছে। এরপর আবার তৈরি করেছি, কিন্তু এখনো তা ওড়াতে পারেনি। তা হয়তো টিকবে না। কিন্তু যদি ওহাইওতে একটি স্কুলের জানালা মেরামত করতে যান, অর্থ পাবেন না। পেনসিলভানিয়াতে বা আইওয়াতে স্কুল করতে গেলে অর্থ পাবেন না।’
ট্রাম্প প্রশ্ন করেছেন, ‘এত অর্থ মধ্যপ্রাচ্যে কী কারণে খরচ করলাম? কোনো কারণেই নয়। আমি সব সময় সেখানকার তেল রেখে দিতে বলি। কিন্তু আমরা তেল রাখিনি। তেল ধরে রাখতে পারলে সব ঠিক থাকত। আমরা তেল রাখলে তা আইএসের কাছে যেত না। কারা তেল রেখেছিল? আইএস। তারা এখান থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছিল। বোকার মতো আমরা তেল রাখিনি। এ কারণেই অবকাঠামোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হাতে অর্থ কম।’
ট্রাম্প রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের একসঙ্গে মিলে বৃহৎ ও শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করার জন্য আহ্বান জানানোর কথা তুলে ধরেন।
ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট বলেছেন, সিরিয়া থেকে সৈন্য সরানোর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
অবশ্য ট্রাম্পের এ মন্তব্য তাঁর আগের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন। তিনি গত দুই বছর ধরেই বলে আসছেন সেনাবাহিনী-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জনসম্মুখে কিছু বলবেন না তিনি।
পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার সেনা রয়েছে। তারা কুর্দি মিলিশিয়ার সঙ্গে আইএসবিরোধী যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। তথ্যসূত্র: পিটিআই, সিএনএন।