রানা প্লাজার মালিকের মায়ের ৬ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার মা মর্জিনা বেগমকে ৬ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার সম্পদের ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৬ নং বিশেষ জজ আদালত কে এম ইমরুল কায়েস আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর মর্জিনা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দুর্নীতি দমন আইনের ২০০৪ সালের দুই ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। এক ধারায় ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা।অপর এক ধারায় একই শাস্তির আদেশ দেন আদালত। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাষ্ট্রের অনুকূলে ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯০ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
দুদকের আইনজীবী এম সালাউদ্দিন ইস্কেন্দার কিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার মা মর্জিনা বেগম জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখল করেন। এছাড়াও তিনি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন দুদকের কাছে। তাই তার বিরুদ্ধে দুদক রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মর্জিনা বেগম সাভারের রানা প্লাজার একাংশের মালিক। এছাড়াও সাভার বাজার রোডের আরেকটি ভবনের একাংশের মালিক তিনি। দুদক তার সম্পদ তথ্য চেয়ে নোটিশ জারি করেন। দুদক কাছে তথ্য দেওয়ার সময় তিনি মিথ্যা ও ভীতিহীন তথ্য দেন।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের উপ-পরিচালক মাহমুবুল আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট মর্জিনা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মাহমুবুল আলম।
২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ৮ জনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন