নথি পেলে খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে আজ আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। খালেদা জিয়ার জামিন হবে কিনা তা জানতে আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন দলের নেতাকর্মীরা।
আজ রবিবার হাইকোর্টের কার্যতালিকায় (কজলিস্ট) রাখা হয়েছে এ মামলাটি। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেবেন।
গত বৃহষ্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন আবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রোববার আদেশের জন্য ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবদীন আদালতে বলেন, বিচারিক আদালত থেকে নথি আসা সংক্রান্ত আদেশের ১৬ দিন পেরিয়ে গেছে। নথি এসেছে কি না আমরা জানি না। তখন আদালত বলেন, এ বিষয়ে রবিবার আদেশ দেওয়া হবে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, এ মামলায় জামিন হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর। দুদকের মামলায় ৫-১০ বছরের সাজা হলেও আসামির জামিনের নজির আছে। অন্য কোনো মামলায় যদি নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো না হয়, তবে জামিন পেলে খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে বাধা নেই।
দুদকের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করবেন। এরপরও জামিন হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে তারা আদেশের বিরোধিতা করে চেম্বার জজ আদালতের দ্বারস্থও হতে পারেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। পাশাপাশি স্থগিত করেন তার অর্থদণ্ড।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়া, তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকেই সেখানে রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ২০০৮ সালের ১৩ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়। এরই মধ্যে কোকোসহ পাঁচ আসামি মারা গেছেন।