মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অকুতোভয়ে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ঝড়ের পর মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরিতে নিদাহাস ট্রফিতে প্রথম জয় পেলো তারা। ২৪ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয়ে ফিফটি করেন মুশফিক, অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানে। মাত্র ৩৫ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৪টি ছয়।
১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৫ রান করেছে তারা। নিদাহাস ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে তারা ২১৫ রানের টার্গেট পায়। ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুর্দান্ত সূচনার পথপ্রদর্শক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তারা শুরু থেকে ঝড় তোলেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার মাত্র এক বল আগে লিটন এলবিডাব্লিউ হন নুয়ান প্রদীপের বলে। মাত্র ৫.৫ ওভারে ৭৪ রানের জুটি গড়ে ফিরেন তিনি। ১৯ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে ৪৩ রানে আউট হন লিটন।
দলীয় স্কোর ১০০ রান করে দশম ওভারের তৃতীয় বলে থিসারা পেরেরাকে ফিরতি ক্যাচ দেন তামিম। ২৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৪৭ রানে আউট হন এই বাঁহাতি ওপেনার।
মুশফিকের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়ে ১৫তম ওভারে আউট হন সৌম্য সরকার। ২২ বলে ২৪ রান করে নুয়ানকে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ ৪২ রান যোগ করেন মুশফিককে নিয়ে। তিনি আউট হন ১৮তম ওভারে কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে। পরের ওভারে সাব্বির রান আউট হন বাজেভাবে।
শেষ ওভারে ৯ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় বলে একটি চার মারার পর দৌড়ে দুটি রান নেন মুশফিক। এরপর চতুর্থ বলে তার ব্যাটে আসে জয়সূচক রানটি।
এর আগে কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে শুরু থেকে ঝড় তুলেছিল শ্রীলঙ্কা, যার শেষ করেন কুশল পেরেরা। দুজনের দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরিতে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া বাংলাদেশকে ২১৫ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। ৬ উইকেটে লঙ্কানরা করেছে ২১৪ রান। কুশল মেন্ডিস বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা হাফসেঞ্চুরি করেন তৃতীয়বার। তার ৫৭ ও কুশল পেরেরার ৭৪ রানে বড় স্কোর দাঁড় করায় লঙ্কানরা।