সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পায়নি বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩১ দিন ধরে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার অনুপস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতেও ভাটা পড়েছে। এ নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই বিএনপিতে। বিএনপির ভাবনায় এখন শুধুই দলের প্রধানের মুক্তির আন্দোলন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বড় ধরনের শো-ডাউন করতে চাচ্ছে বিএনপি। তবে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে উন্মুক্ত ময়দানে জনসভা করার অনুমতি পাচ্ছেনা তারা।
এদিকে ঢাকায় জনসভা করতে না পেরে বিভাগীয় সদরগুলোতে শো-ডাউন করার কর্মসূচি গ্রহণ করে দলটি। তবে এখনো কোথাও অনুমতি মেলেনি। ১২ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করে সরকারের কাছে লিখিত অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও সাড়া মিলছে না। বৃহস্পতিবার বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো.আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে তার কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তবে তিনি হ্যাঁ-না কিছুই বলেননি।
আজ খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে জনসভা করতে চেয়েছিল বিএনপি। সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তৃতা দেওয়ার কথা। তবে হঠাৎ করে গতকাল হাদিস পার্কসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকল ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ জারি করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এটা ঠিক, বিএনপি একটি ক্রাইসিস সময় পার করছে। দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সফল হচ্ছে না। তবে তাদের মধ্যে একটা ইউনিটি দেখা যাচ্ছে। তারা অনেকটা শান্তিপূর্ণ পথেই কর্মসূচি পালন করছে। সরকারকেও আমি বলব, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করুন।’
বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, দলের শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতিতে নেতা-কর্মীরা সব ভেদাভেদ ভুলে এক প্লাটফরমে এসে দাঁড়িয়েছেন। দলের ভিতরকার কোন্দলও কমেছে। বেগম জিয়ার মুক্তি দাবিতে রাজপথের নরম কর্মসূচিতে ছোট-বড় সব নেতাই মাঠে থাকার চেষ্টা করছেন। তবে দলের কেউ কেউ এও বলছেন, শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন আর অনশন কর্মসূচি দিয়ে নেতৃত্ব পরীক্ষা করা যাবে না। রাজপথে হরতাল-অবরোধ দিয়ে কে কতটুকু টিকে থাকতে পারেন, সেটাই হবে অগ্নিপরীক্ষা।