নাসিরনগর উপ-নির্বাচন : জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে উপ-নির্বাচন আগামী ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী ও সমর্থকরা বিরামহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। এক সময়ের জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত বর্তমানে আওয়ামী লীগের ঘাটি ২৪৩ নং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) সংসদীয় আসনের প্রার্থীরা স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে গণসংযোগ, শুভেচ্ছা বিনিময় ও মাইকিং করে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন। হাটে-ঘাটে, চায়ের দোকানে, বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে দলীয় প্রার্থীর লিফলেট বিলি করা হচ্ছে, লাগানো হচ্ছে পোষ্টার। কুশল বিনিময় করে চাওয়া হচ্ছে নিজের প্রার্থীর পক্ষে ভোট।
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজোয়ান আহমেদ এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী আবুল কাসেম মো.আশরাফুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।শেষ সময়ে প্রার্থীরা তাদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা ও গণসংযোগে করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের সর্মথকদের গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠ এখন সর্বএ সরগরম হয়ে উঠেছে। তবে প্রার্থী তিনজন থাকলেও নৌকা আর লাঙ্গলের প্রার্থীর মধ্যেই লড়াই হবে বলে এলাকার বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন। বর্তমানে উপজেলার সর্বত্র বিরাজ করছে উৎসবমুখর আমেজ। মূল কথা হল উৎসব মুখর পরিবেশেই নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা।
বর্তমান সরকারের সময়ে নাসিরনগরের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে প্রয়াত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করতে উপ-নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের গতিধারা বজায় রাখতে এলাকার সকল শ্রেণীর ভোটাররা আবারও আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। তিনি বলেন, নতুন প্রজম্মের প্রতিনিধি হিসেবে আমার নিজস্ব কিছু চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। নাসিরনগর একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। বিজয়ী হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করব।
এ আসনে জাতীয় পাটির প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতা রেজোয়ান আহমেদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। তবে কারচুপির আশংকা প্রকাশ করে রেজোয়ান আহমেদ বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জনগণের বিপুল ভোটে আমি বিজয়ী হব।তাঁর লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে বাঁধা সৃষ্টির অভিযোগ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ প্রার্থী সততার প্রতীক হিসেবে পরিচিত প্রয়াত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে পর্যাক্রমে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আবার বিগত দিনের হিসেবে এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে এ আসনের সংসদ সদস্যের পদ শূন্য হয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ আসনে ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১০ হাজার ৪১০ জন ও মহিলা ভোটার এক লাখ তিন হাজার ৫৯৯ জন রয়েছেন।