নেপালি ক্রিকেটার বিক্রি হয়, তামিমকে কেউ কেনে না !
তাহলে সমস্যাটা কোথায়? ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যানদের একজন তিনি। বিপিএলে, পিএসএল মাতিয়েছেন। নিজের ভিত্তিমূল্যও রেখেছেন নাগালের মধ্যে। তবু এবারও তামিম ইকবালকে নিলামে কিনল না আইপিএলের কোনো দল। অথচ নিলামে প্রথম নেপালি ক্রিকেটার হিসেবে ২০ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়েছেন সন্দ্বীপ লামচানেও! তামিমের ভিত্তিমূল্য ছিল ৫০ লাখ রুপি, আইপিএলের হিসাবে এটি তেমন দামই না।
২০১২ সালের আইপিএলে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে পুনে ওয়ারিয়র্সে জায়গা হয়েছিল তামিমের। কিন্তু আইপিএলের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ তেমন পাননি। আর তখনকার তামিমও এখনকার মতো ধারাবাহিক ও আস্থার জায়গা ছিলেন না। এই তামিম বদলে যাওয়া এক ব্যাটসম্যান। ২০১৫ সাল থেকে কমপক্ষে ১৫ ম্যাচ খেলেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে গড়ে (৫২.৪৮) সেরা আট ব্যাটসম্যানের একজন তিনি।
গত তিন বছরে তামিম ধারাবাহিকতায় পেছনে ফেলেছেন স্টিভেন স্মিথ (৬১ ম্যাচে ৪৮.৯০ গড়ে ২৪৯৪ রান) ও কেন উইলিয়ামসনের (৬৪ ম্যাচে ৪৮.৮৬ গড়ে ২৯৩২ রান) মতো ব্যাটসম্যানদের। কেবল গত দুই বছরে ২৪ ম্যাচে ৬১.৭৬ ব্যাটিং গড়ে ১২৯৭ রান করেছেন তামিম। এই সময়ে ৩০ ম্যাচে ৫২.৯৫ গড়ে ১১১২ রান করেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ডেভিড ওয়ার্নার (৩৯ ম্যাচে ৫৭.৪০ ব্যাটিং গড়), শিখর ধাওয়ান (২৭ ম্যাচে ৪৯.৮৮ ব্যাটিং গড়) কিংবা মার্টিন গাপটিলের (৩২ ম্যাচে ৪৯.০০ ব্যাটিং গড়) মতো ওপেনাররাও এ সময়ে তামিমের চেয়ে পিছিয়ে।
এ সময় তামিমের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে তাঁর ধারাবাহিকতার প্রতি সুবিচার করাও হবে না। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিগুলোতে তামিম ছিলেন অবিশ্বাস্য। পিএসএলে ৪৫.১২ গড়ে তাঁর ৩৬১ রান। ১১ ম্যাচের চারটিতে ফিফটি। কদিন আগে বিপিএলে ১০ ম্যাচে ৩৩২ রান করেছেন, গড় ৩৬.৮৮।
আইপিএলে এবার নিলাম তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের ছয় ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান. তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান ও আবুল হাসান। ২ কোটি রুপিতে সাকিবকে কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং মোস্তাফিজকে ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কিনেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। বাকি চার ক্রিকেটারকে নিলামে ডাকা হয়নি।