দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩১ জানুয়ারি বিক্ষোভ
ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে ‘নিপীড়নবিরোধী’ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালনের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ধর্মঘট-পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেন জোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমন।
তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া ১-১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাবিপক্ষ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেবে ছাত্রজোট।
জোটের সমন্বয়ক বলেন, সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জোটের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এখন থেকে কোথাও আঘাত করা হলে জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা সেখান থেকে প্রতিরোধ করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিলানী শুভ, সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি নাইমা খালেদ মনিকা প্রমুখ।
গত ২৩ জানুয়ারি দুপুর থেকে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে নিজ কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে উপাচার্যকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে ছাত্রলীগ। তারা কয়েক দফা হামলা চালিয়ে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। হামলায় অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হন।
উপাচার্য কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে দুই দফা হামলার ঘটনায় দায়ী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে আহতদের চিকিৎসাব্যবস্থা করা, প্রক্টর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির সময় ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি করেছেন আন্দোলকারীরা।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ দাবি করেছে, সেদিন অছাত্রদের হাত থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল তারা। আর এ হামলায় বহিরাগতরা জড়িত।
ওই ঘটনার পর ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের’ পাল্টায় ‘সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানার নিয়ে কর্মসূচি দিয়েছে ছাত্রলীগ।