আগুন পোহাতে গিয়ে রংপুরে ১০ দিনে ১৩ জনের মৃত্যু
শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গত দশ দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪০ জনের মতো শিশু ও নারী। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রংপুর বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে গত ৬ জানুয়ারি থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশত নারী ও শিশু। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
গত দশ দিনে মারা যান, লালমনিরহাট জেলার সদর থানার সাম্মি আখতার (২৭), একই জেলার পাটগ্রামের ফাতেমা বেগম (৩২) ও আলো বেগম (২২), রংপুরের কাউনিয়ার গোলাপি বেগম (৩০), নীলফামারীর রেহেনা বেগম (২৫), রংপুর নগরীর নজিবের হাট এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৪০), ঠাকুরগাঁও শহরের থানাপাড়ার আঁখি আক্তার (৪৫), রংপুরের জুম্মাপাড়া পাকার মাথার রুমা খাতুন (৬৫), রংপুর মাহিগঞ্জের চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম (২৫), নীলফামারী সদরের সোনারাম গ্রামের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মারুফা খাতুন (৩০), লালমনিরহাট জেলার রাজপুর গ্রামের শুকমনি (৭০), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার জামেরন বেওয়া (৮০) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হাসু বেগম (৬৫)।
সোমবার রংপুর বার্ন ইউনিটের সহকারী পরিচালক নূরে আলম জানান, প্রচন্ড শীত থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহানোর সময় বিভিন্ন সময় অন্তত ৫৫ জন দগ্ধ হন। এদের রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে রোববার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩ জন এবং সোমবার সকালে একজনের মৃত্যু হয়। এরআগে অগ্নিদগ্ধ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে রংপুর অঞ্চলে গত কয়েকদিনের তুলনায় বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমলেও শীতের তীব্রতা কমেনি। সোমবার সকাল থেকে এখনো এ অঞ্চলে সুর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে আকাশ। রংপুর আবহাওয়া অফিস সোমবার সকালে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।