কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ছেড়ে কথা বলেনি। আগ্রাসী ফুটবল খেলেছে শুরু থেকেই। কিন্তু ভুটান নিজেদের রক্ষণ এমনভাবে জমাট করে রেখেছিল যে গোলমুখ উন্মুক্ত করাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। তহুরা-মার্জিয়া-মনিকারা ম্যাচের পুরো সময়জুড়ে প্রতিপক্ষের সীমানায় বল নিয়ে কারিকুরি করলেও আগের মতো বড় ব্যবধান রেখে জিততে পারেনি।
ম্যাচের ১১ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ভুটান গোলরক্ষক কর্মা যুদেনের হাত ফসকে যাওয়া বলে শট নিতে পারেনি মনিকা। তবে পরের মিনিটে ঠিকই জালে বল জড়াতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয় কর্নার পেয়েছিল বাংলাদেশ। মার্জিয়ার কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে গোলটি করেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। এই অর্ধে ১১ টি কর্নার পেয়েও বাংলাদেশ গোল করতে পারে মাত্র একটি!
২৭ মিনিটে মনিকা চাকমার জোরালো শট বারের ওপর দিয়ে যায়। ৩৭ মিনিটে আনুচিং মগিনির শট সাইড বারে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি বলটিও মার্জিয়ার শট গোলরক্ষক কর্মা যুদেন কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন।
বিরতির পর আরও দুটি গোল হয়েছে। ৫৬ মিনিটে মার্জিয়ার বাম প্রান্তের কর্নারে আঁখি খাতুনের বুদ্ধিদ্বীপ্ত নিচু সাইড ভলিতে স্কোর হয় ২-০।
৬১ মিনিটে স্কোর ৩-০ করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে মারিয়া মান্ডার বাঁ পায়ের জোরালো শট নিলে তা সাইড বারে লেগে ফিরে আসে।
৭৯ মিনিটে তহুরার বদলি হিসেবে নেমে অবশেষে স্কোর ৩-০ করেন সাজেদা খাতুন। বক্সে ঢুকে গড়ানো শটে গোলরক্ষকের বাঁ দিক দিয়ে গোলটি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্ট ফেভারিট ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাট্রিবিউন