পদদলির ঘটনার কারণে রীমা কমিউনিটি সেন্টার আপাতত বন্ধ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনার পর রীমা কমিউনিটি সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে প্রশাসন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনার পর থেকে রীমা কমিউনিটি সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, “অন্যান্য আরও অনেক কমিউনিটি সেন্টারে মেজবান অনুষ্ঠিত হলেও সেগুলোতে কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেন এখানে ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
“গতকালের (সোমবার) ঘটনায় হতাহতের পর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই কমিউনিটি সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”
চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে সোমবার ১০ জন নিহত হয়।
ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও।
সোমবার রাতে নওফেল বলেন, “অসাবধানতাবশত এ ঘটনা ঘটনা ঘটেছে কি না, তা আমরা জানতে চাই।
“এর আগেও আমাদের বাসায় এবং বিভিন্ন স্থানে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে, কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। রীমা কমিউনিটি সেন্টারে আগেও বহু মেজবান হয়েছে। তখনও কিছু হয়নি।”
আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত
নওফেল বলেন, “অসাবধানতাবশত অপেক্ষমানদের মধ্যে থেকে কেউ রীমা কমিউনিটি সেন্টারের দরজার লক খুলে দিয়েছিল কি না- তা দেখতে হবে। সেটা সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে। তদন্ত হলে জানা যাবে আসলে কী ঘটেছিল।”
এদিকে রীমা কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মান্নান তাদের প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, সোমবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থাকলেও সেটি হয়নি।
এছাড়া আগামী কয়েকদিনে তাদের কনভেনশন সেন্টারে বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের বুকিং রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এখনও আইসিইউতে তিনজন
এদিকে পদদলনে আহত মোট ১৩ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনজনের মধ্যে সুনীল কান্তি নাথ নামে একজনের অবস্থা এখনও সঙ্কটাপন্ন বলে মঙ্গলবার সকালে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেলের এনেসথেশিয়া ও আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হারুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, অর্পণ বিশ্বাস (২২) ও প্রিয়জিৎ বরণ বৈদ্য (৪৬) নামে বাকি দুইজনের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
আহত বাকিদের মধ্যে সাতজন চট্টগ্রাম মেডিকেলের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ও দুইজন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শীলব্রত বড়ুয়া।
এছাড়া অপর একজন নগরীর বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।