সাভারে মসজিদের ইমাম ও কলেজছাত্রসহ তিনজন নিখোঁজ
সাভার প্রতিনিধি : ঢাকার সাভার থেকে মসজিদের ইমাম ও কলেজছাত্রসহ তিনজনকে চার দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ তিনজন হলেন সাভার পৌর এলাকার শাহীবাগ বায়তুস সালাত জামে মসজিদের ইমাম ইব্রাহীম খলিল (২৬), আশুলিয়ার দোসাই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শরিফ হোসেন (১৭) ও পোশাকশ্রমিক শাকিল (২৪)।
ইব্রাহীম খলিল ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নগরচরা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। শরিফ আশুলিয়া থানাধীন দোসাইদ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। শাকিল সাভার পৌর এলাকার ইমান্দিপুরের শুকুর আলীর ছেলে। ইব্রাহীম খলিল ও শাকিলের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওই দুজনের পরিবার সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। শরিফের নিখোঁজের বিষয়ে তাঁর পরিবার জিডি করতে গেলে আশুলিয়া থানা তা নেয়নি।
ইব্রাহীম খলিলের ছোট ভাই ইসরাহিল বলেন, তাঁর ভাই দুই বছর ধরে শাহীবাগ মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মসজিদ থেকে বের হয়ে খাওয়ার জন্য পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় তিনি নিখোঁজ হন। তাঁর সঙ্গে শাকিল ও রুবেল নামের দুই তরুণও ছিলেন। তাঁদেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভাই নিখোঁজ হওয়া ঘটনায় ইসরাহিল গত শনিবার সাভার মডেল থানায় জিডি করেছেন।
ইসরাহিলের দেওয়া তথ্য যাচাই করতে গিয়ে ইব্রাহিম ও শাকিলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও রুবেলের বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত
শাকিলের বাবা শুকুর আলী বলেন, তাঁর ছেলে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত শুক্রবার শাহীবাগ মসজিদে এশার নামাজ পড়তে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। চার দিন ধরে তাঁর হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তিনি গত শনিবার সাভার মডেল থানায় জিডি করেছেন।
গত শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি শরিফ। তার মা সালেহা বেগম বলেন, পাশের বাড়ি থেকে বাইসাইকেল নিয়ে শাকিল পাশের আউকপাড়া এলাকায় যায়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানিয়েছেন, আউকপাড়া এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে শরীফকে নিয়ে যাওয়া হয়। সালেহা বেগম বলেন, তাঁর ছেলে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার দুই দিন পর তিনি আজ সোমবার আশুলিয়ায় থানায় তিনি জিডি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর জিডি নেয়নি।
জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের সব ধরনের আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।’
সাভার মডেল থানার ওসি মহসিনুল কাদির বলেন, দুজন নিখোঁজের বিষয়ে তাঁর থানায় জিডি করা হয়েছে। তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।