সরাইলের নিখোঁজ গৃহবধূ ঈশ্বরদীতে উদ্ধার, আটক ১
বিশেষ প্রতিনিধি : অপহরণ নয়, প্রেমের টানেই ঘর ছেড়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের গৃহবধূ সামিরা আক্তার ঝর্ণা। গতকাল বুধবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার টেরিংবাজার থেকে সন্তানসহ তাকে উদ্ধারের পর পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
পুলিশের সূত্র জানায়, ঝর্ণার কথিত প্রেমিক যশোরের কেশবপুর উপজেলার মো. তারিকুল ইসলাম নামে একজনকেও আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ঝর্ণার দুই সন্তানকে। তাদের সবাইকে সরাইল থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরাইলের বড় দেওয়ান পাড়ার শফি উদ্দিন ঠাকুরের ছেলে মোসলেহ উদ্দিন পল্টু ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়ার আব্দুর রফিক লস্করের মেয়ে ঝর্ণা বিয়ে হয় ২০০৬ সালে। এ দম্পতির তামিম ও নওরীন নামে দুই সন্তান রয়েছে।
গত ৫ই ডিসেম্বর বাবার বাড়ি থেকে সন্তানসহ নিখোঁজ হন ঝর্ণা। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ই ডিসেম্বর সরাইল থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়। এ ঘটনায় বেনু দাস নামে এক অটোরিকশা চালককে আটক করে পুলিশ। বেনু দাসের অটোরিকশায় করেই ৫ই ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বের হন ঝর্ণা। জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশ্য বেনুকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সূত্র আর জানায়, বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত মোসলেহ উদ্দিন বছর দুয়েক আগে পর্যন্ত চট্টগ্রামে চাকরি করতেন। যশোরের কেশবপুর উপজেলার বেলকাঠি গ্রামের আব্দুল মোড়লের ছেলে তারিকুল নামে মোসলেহ উদ্দিনের এক সহকর্মী ছিলেন।
মোসলেহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের বাসায় নিয়মিতই যাওয়া-আসা করতেন তরিকুল। এরই মধ্যে বিবাহিত তারিকুলের সঙ্গে ঝর্ণার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। বছর দুয়েক আগে তারিকুল মালয়েশিয়া চলে যান। সেখানে থেকেও তিনি ঝর্ণার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। গত ৫ই ডিসেম্বর তরিকুল দেশে ফিরেই ঝর্ণাকে নিয়ে পাবনায় পালিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া পরকীয় আসক্ত হয়ে তরিকুল ও ঝর্ণা পালিয়ে যান। মাসহ দুসন্তানকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তিকে আদালতে শুক্রবার সোর্পদ করা হবে।