সোমবার, ১৮ই জুন, ২০১৮ ইং ৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

টলিউডে রাতের পার্টিতে কী হয়?

বিনোদন ডেস্ক : এপার বাংলার শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের পাশাপাশি এ দেশের মানুষের ওপার বাংলাতেও রয়েছে অনেক পছন্দের তারকা। তাদের জীবনযাপন, ব্যক্তিগত জীবন ও অন্যান্য বিষয়ে ভক্তদের কৌতূহল রয়েছে।

তারকাদের বর্ণিল জীবনের বিশেষ অংশজুড়ে থাকে জাঁকজমকপূর্ণ পার্টি। বিশেষ দিনগুলোর পাশাপাশি অবসর পেলেই নাচে গানে মেতে ওঠেন তারা। বিশেষ করে শীতের এই সময়টাতে বেড়ে যায় এর সংখ্যা। সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে নিজেদের রাতের পার্টির অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন কলকাতার বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। চলুন জেনে নিই তাদের পার্টির অভিজ্ঞতা :

মিমি চক্রবর্তী : টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। পার্টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুই-তিন বছর আগেও আমি খুব পার্টি করতাম। কিন্তু এখন হাউস পার্টিই করি। নুসরাত জাহান-সায়ন্তিকা ব্যানার্জিরা পার্টি করলেও আমার সেভাবে হয় না। আসলে আমি বেশি রাত পর্যন্ত জাগতে পারি না। দুইটা বাজার পর একটা কোণে চুপচাপ বসে পড়ি, এ সময় খুব ঘুম পায়।’ এ অভিনেত্রী নাকি নাচতে খুব ভালোবাসেন। প্রশ্ন করা হলে হাসতে হাসতে জবাব দেন, ‘ভীষণ। তবে ওয়ান্স ইন আ ব্লু মুন। আমার বার্থ ডে হলো একমাত্র দিন, যেদিন আমি পার্টি করি। সে দিনও পারতপক্ষে ড্রিঙ্ক করি না। অ্যালকোহল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।’

নুসরাত জাহান : বছরের শেষদিন পার্টির জন্য বরাদ্দ থাকে এ অভিনেত্রীর। তিনি বলেন, ‘ওই দিন পার্টি করতেই হবে। আমার কলেজের বন্ধু ও ইন্ডাস্ট্রির কিছু বন্ধু সেখানে থাকে। এ বছর কী হবে জানি না। দেখুন না, জ্বরে কাবু হয়ে পড়েছি। তার উপর কাজের চাপ।’

রুক্মিনি মৈত্র : দেবের কথিত প্রেমিকা রুক্মিনি মৈত্র। ডিস্কোতে পার্টি করতে পছন্দ করেন না। এমনকি জন্মদিনের পার্টিও বন্ধু ও আত্মীয়দের নিয়ে বাড়িতেই করেন। তবে নাচে কোনো বাধা নেই। ‘আমি এটি খুবই ভালোবাসি। মিউজিক চললে আমি রীতিমতো পাগল হয়ে যাই। হাউস পার্টিতে নাচ, তারপর গিটার নিয়ে গান, সকালে বেরিয়ে দুধকলা, জিলাপি… উফ, মজাই আলাদা।’ বলেন রুক্মিনি।

পরমব্রত চ্যাটার্জি : জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জি। এবার তার বড়দিনের ছুটি কাটবে ইউরোপে। পার্টির বিষয়ে তিনি বলেন ‘কলকাতার পার্টি সিজন এবার মিস করব। যদিও এখন আর ক্লাবিং ভালো লাগে না।’

বনি সেনগুপ্ত : টলিপাড়ায় গুঞ্জন কৌশানী মুখার্জির সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন বনি সেনগুপ্ত। বছরের শেষদিকে কৌশানী ও পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে পার্টি করেন। ‘২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ক্লাবে পার্টি, পরের দিন ফ্যামিলি পিকনিক, তারপর ৩১-এর পার্টি। ওই দিন খাওয়ায় বিধি নিষেধ থাকে না। লুচি থেকে শুরু করে বিরিয়ানি সব খাই। আগে অকেশনালি ড্রিঙ্ক করতাম। তবে বিক্রম-সনিকার দুর্ঘটনার পর আর ড্রিঙ্ক করি না। কারণ, গাড়ি চালাতে হয়। তবে কৌশানীর সঙ্গে সম্পর্কের পর এখন আর পার্টিতে মেয়েদের ঝারি মারতে পারি না। কৌশানী দেখলেই সমস্যা।’

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

এই চার দেশ রাশিয়ায় সেমিফাইনাল খেলবে!

শিক্ষকরা কঠোর আন্দোলনের পথে এমপিও’র দাবিতে

বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত

‘বাড়ি গেলে সৎ বাবা মারে’

হিজরা দলের অভিনব কায়দায় ছিনতাই

ঈদের আনন্দ এখন একটু কম, সবাইকে শুধু দিতেই হয়: চম্পা