সোমবার, ১৮ই জুন, ২০১৮ ইং ৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

জনশক্তি রফতানিতে রেকর্ড

news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক : জনশক্তি রফতানিতে চলতি বছর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে রেকর্ড ৮ লাখ ৭৫ হাজার কর্মী চাকরি নিয়ে বিদেশ যান। কিন্তু এরপর থেকে জনশক্তি রফতানিতে ভাটা দেখা দেয়। ২০১০ সালে বিদেশ যাওয়া কর্মীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৯০ হাজারে। ২০১৫ থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে এ সংখ্যা। অবশেষে চলতি বছর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৪ জন কর্মী বিদেশ গেছেন। মাসের বাকি দিনগুলোয় এ সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্নিষ্টরা।

মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। জনশক্তি খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশ মাইগ্রেন্টস-(আরবিএম)’ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান, চলতি বছরে রেকর্ড-সংখ্যক নারী কর্মী চাকরি নিয়ে বিদেশ গেছেন। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার নারী কর্মী বিদেশ গেছেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো এজেন্সি বেশি টাকা নিলে, তাদের লাইসেন্স বাতিল হয়। কিন্তু কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় না। সেহেতু বলা যায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে না।’

আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত

চলতি বছর ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৬২ কর্মী সৌদি আরবে গেছেন। তাদের অনেকেই গিয়ে কাজ পাননি, খাদ্য ও বাসস্থান সংকটে রয়েছেন। কেউ কেউ বেতন না পেয়ে পথে পথে ঘুরছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হলেও নুরুল ইসলামের দাবি, পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয়। যারা বৈধভাবে গেছেন, তারা ভালোভাবেই কাজ করছেন। বৈধভাবে বিদেশ যাওয়া কর্মীদের কেউ বিপদের সম্মুখীন হলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় তাদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে।

চলতি বছর দেশওয়ারি অভিবাসনের অর্ধেকই হয়েছে সৌদি আরবে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে অভিবাসন আগের বছরগুলোর তুলনায় কমেছে। এর জবাবে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় ওমান, কাতার, কুয়েতে চাকরির সুযোগ কমেছে। ওমানে বাংলাদেশি কর্মীদের চাকরির সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের তরফ থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’ বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা বছর বছর বাড়লেও রেমিট্যান্স বাড়ছে না, বরং কমছে। অবৈধ মোবাইল ব্যাংকিং ও হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা আসছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘রেমিট্যান্স প্রবাহ গত মাসে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে টাকা পাঠাতে এখন আর কর দিতে হয় না। আগামী দিনগুলোয় রেমিট্যান্স আরও বাড়বে।’

বাংলাদেশের শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যনির্ভর হয়ে পড়েছে। নতুন বাজার খুলছে না কয়েক বছর ধরে। এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলামের দাবি, এ স্থবিরতা শিগগির কেটে যাবে। বাজার সন্ধানে ৫২টি দেশের শ্রমখাত নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মী পাঠানোর চেষ্টা করছে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে দেশের ২৪টি জেলা পিছিয়ে রয়েছে। এসব জেলা থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মী পাঠানো হবে বলেও জানান প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী। এ ছাড়া প্রবাসী কর্মীদের শতভাগ বীমার আওতায় আনতে নীতিমালা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আরবিএম সভাপতি ফিরোজ মান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ সচিব নমিতা হালদার, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিআএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজা।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত

‘বাড়ি গেলে সৎ বাবা মারে’

ফেবারিটদের কী হলো?

হিজরা দলের অভিনব কায়দায় ছিনতাই

ঈদের আনন্দ এখন একটু কম, সবাইকে শুধু দিতেই হয়: চম্পা

ক্রিকেটারদের ঈদ কেমন কাটছে?